Faculty of Science and Information Technology > Science and Information
উল্কাসৃষ্ট হীরা!
(1/1)
rumman:
কেবল ভূ-অভ্যন্তর থেকে নয়, ডায়মন্ড বা হীরা মিলতে পারে পৃথিবীর বহিরাবরণ থেকেও। আর এসব হীরার উৎস হচ্ছে মহাকাশ থেকে ছিটকে আসা গ্রহাণু বা উল্কাপিণ্ড। তীব্র অভিঘাত সহ্য করে গ্রহাণু বা উল্কাপিণ্ড ষড়ভুজ আকৃতির এসব হীরা তৈরি করে। দশককাল ধরে তর্ক-বিতর্কের পর বিজ্ঞানীরাও নিশ্চিত হয়েছেন, উল্কার এসব ‘উদ্ভট’ হীরা এবং খনি থেকে সংগৃহীত হীরার মধ্যে পার্থক্য শুধুই উপাদানঘটিত।
যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক উন্নত প্রযুক্তির ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে ‘লোনসদালেইত’ নামের এসব হীরার আকার-আকৃতি ও উপাদান পরীক্ষা করেছেন। এরপর নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তাঁরা জানান, প্রচলিত খনিজাত হীরার মতোই এসব ‘লোনসদালেইত’ও হীরা হওয়ার সবগুলো শর্ত মেনে চলে। তবে খনিজাতের সঙ্গে এর কিছু উপাদানগত খুঁত আছে। গ্রহাণু বা উল্কাপিণ্ডে হওয়া তীব্র অভিঘাত, ভেতরকার প্লাস্টিকজাতীয় উপাদানের পরিবর্তন কিংবা অভ্যন্তরীণ স্ফটিকের সমভার বৃদ্ধি না হওয়ায় ‘লোনসদালেইত’গুলোতে এ ধরনের খুঁত দেখা যায়।
প্রায় ৫০ বছর আগে ক্যানিয়ন ডায়াবলো নামের একটি উল্কাপিণ্ড উত্তর আরিজোনায় এসে পড়ে। উল্কাপিণ্ডটির সৃষ্ট গর্তে প্রথমবারের মতো এ ধরনের হীরা মিলেছিল। তখন থেকেই ‘লোনসদালেইত’ হীরা নিয়ে বিজ্ঞান মহলে ব্যাপক আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে। ষড়ভূজ আকৃতির এ হীরাগুলো দিয়ে গবেষকরা সাধারণত ‘প্রাচীন আমলে পৃথিবীর ওপর উল্কাপিণ্ড বা গ্রহাণু কী ধরনের প্রভাব বিস্তার করেছিল’ তা নিয়ে গবেষণা করে থাকেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
Source: http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2014/11/26/155545
Navigation
[0] Message Index
Go to full version