হিমেল হাওয়ার দিনগুলোতে কমবেশি সবারই ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। অনেকেরই ত্বক ফেটে যায় এ সময়। তবে যাঁদের ত্বক এমনিতেই একটু শুষ্ক ও রুক্ষ প্রকৃতির, অন্যদের চেয়ে তাঁদের সমস্যা একটু বেশিই হয় এ সময়টাতে। শুষ্ক ত্বকের জন্য এ সময় তাই দরকার বাড়তি যত্ন।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমদাদুল হক। তিনি বলেন, শীতে কারও কারও ত্বক অতিরিক্ত ফেটে যায়। অতিরিক্ত ত্বক ফাটার সমস্যা হতে পারে জন্মগত কারণে। আবার কিছু রোগের কারণেও এমন হতে পারে। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পরও অতিরিক্ত ত্বক ফাটলে বুঝতে হবে, কোনো সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
নিয়মিত যত্ন নিলে শুষ্ক ত্বকও হয়ে উঠবে লাবণ্যময়। ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ফিরে পেতে তাই এখনই হোন সচেতন। জেনে নিন শুষ্ক ত্বকের যত্নে রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা শাকিলের পরামর্শ।
দিনে দু-তিনবার অধিক ময়েশ্চারাইজারযুক্ত কোনো ক্রিম ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকে বলিরেখা বেশি বোঝা যায় এবং অতিরিক্ত শুষ্কতার জন্য ত্বক তার স্বাভাবিক লাবণ্য হারায়। শুষ্কতা এড়াতে অবশ্যই ত্বকে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে সব সময়। যতবার মুখ ধোবেন ততবারই লাগাতে হবে ময়েশ্চারাইজার।
রাতে কিছুটা হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
একটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে বেশ খানিকটা দুধের সর, একটু মসুরের ডাল বাটা ও একটু মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগাতে পারেন। সপ্তাহে তিন দিন এ প্যাক ব্যবহারে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্ক ভাব কমে যাবে।
ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে হারবাল ফেসিয়াল ছাড়াও বিভিন্ন বিউটি ফেসিয়াল করাতে পারেন।
শীতে পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যাও বেড়ে যায়। যাঁদের ত্বক একটু রুক্ষ, তাঁদের গোড়ালি ফাটার সমস্যার সমাধানে তিনি দিয়েছেন আরও কিছু পরামর্শ।
নিয়মিত পায়ের গোড়ালি পরিষ্কার করুন।
গোড়ালির মৃতকোষ ঝামা দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে ফেলুন।
পায়ের গোড়ালি নরম রাখতে গ্লিসারিন বা কিছুটা তৈলাক্ত কোনো লোশন লাগাতে পারেন।
রাতে গ্লিসারিন বা লোশন লাগানোর পর পারলে মোজা পরে ঘুমান।