ঘরোয়া চিকিত্সার অনেকটাই প্রাকৃতিক উপাদান-নির্ভর। এসব প্রাকৃতিক উপাদান রান্নাঘর থেকে শুরু করে আঙিনার গাছ-গাছালিতে হাতের কাছেই পাওয়া যায়। ছোটখাটো অসুস্থতায় এই ঘরোয়া চিকিত্সা অনেক সময় স্বস্তি এনে দিতে পারে।
ফোঁড়া
পানিতে ভেজানো গরম তুলা দিয়ে ফোঁড়ায় সেঁক দিলে অনেক সময় ফোঁড়াটি ফেটে যায়। এক্ষেত্রে ফোঁড়াটি ফেটে গিয়ে রোগীকে সামান্য সার্জিক্যাল কাটাছেঁড়া থেকে রেহাই দিতে পারে।
ডায়রিয়া ডায়রিয়া হলে চিকিত্সার পাশাপাশি পথ্যেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ডায়রিয়া কমাতে এক কাপ চিনি ছাড়া কালো চা কিছুটা কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে জানা গেছে। তা ছাড়া আপেল, ডাবের পানি, ওরাল স্যালাইন (ঘরে তৈরি) ইত্যাদিও খাওয়ানো যায়। এক্ষেত্রে আপেলকে টুকরো করে কেটে খোলা স্থানে ২০ মিনিট রেখে অপেক্ষা করতে হবে আপেলের রং পরিবর্তিত হয়ে বাদামি হওয়ার জন্য। কাটা আপেল বাদামি হওয়ার পর সেটিকে খেতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
কয়েক টুকরো যষ্টিমধু, ইসবগুলের ভুসি, শাকসবজি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই দিতে পারে।
সর্দি
সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেলে এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা-চামচ পরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে চুমুক দিয়ে একটু একটু করে বারবার পান করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
কাশি
প্রথমেই এক কোয়া রসুনকে পাতলা করে কেটে টুকরো টুকরো করুন। এবার রসুনের টুকরোর ওপর মধু ঢেলে দিন এবং দুই-তিন ঘণ্টা ফেলে রাখুন। এবার দৈনিক একবার করে এক চামচ মধু পান করুন।
পায়ে দুর্গন্ধ
সুতি মোজা পরুন। পায়ে দুর্গন্ধ হলে চায়ের পানিতে পা ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এভাবে প্রতিদিন করতে থাকুন যতদিন না দুর্গন্ধ দূর হয়। পা ভেজানোর জন্য চায়ের পানি তৈরি করতে দুটি চায়ের ব্যাগ ৫০০ মি.লি. পানিতে ১৫ মিনিট ফুটাতে হবে।
তারপর এই চায়ের পানিকে ২ লিটার ঠাণ্ডা পানির সঙ্গে মেশাতে হবে।
পায়ে ছত্রাক সংক্রমণ
পা সব সময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। নিয়মিত মোজা, জুতা এবং তোয়ালে পরিষ্কার করতে হবে। পায়ে ছত্রাক সংক্রমণ হলে পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে তাতে ১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন।
মাড়ি থেকে রক্ত পড়া
দাঁত ব্রাশ করার পর প্রতিবার লবণ ও সাধারণ পানির মিশ্রণ দিয়ে কুলকুচি করলে তা মাড়িকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন-পেয়ারা, আমলকী, লেবু ইত্যাদির যেকোনোটি মাঝে মধ্যে খেতে হবে।
শীতে কাঁপুনি
গরম চা এবং কফির পরিবর্তে এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ মধু, ছোট এক টুকরো থেঁতলানো আদা এবং লেবু মিশিয়ে পান করলে শীতের কাঁপুনি থেকে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে।
পোড়া
পুড়ে গেলে প্রথমেই পোড়া অঙ্গটিকে ঠাণ্ডা পরিষ্কার পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
রুক্ষ ত্বক
ত্বকে অলিভঅয়েল দিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শরীরে দুর্গন্ধ
৫০০ মি.লি. ডিস্টিলড ওয়াটারের সঙ্গে ছয় ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে তা শরীরের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী অঞ্চলগুলোতে মেখে দিলে উপকার পাওয়া যায়।
ক্লান্ত চোখ
দুই টুকরো তুলা পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে চোখ বোজা অবস্থায় দুই চোখের ওপর রাখুন।
মুখে দুর্গন্ধ
এক টুকরো দারুচিনি, লবঙ্গ কিংবা এলাচ বিচি মুখে রাখুন।
হজমে সমস্যা
খাওয়ার পর দই অথবা বোরহানি খেতে পারেন।
বমি
আদা চা কিংবা শুকনো আদা এক্ষেত্রে কিছুটা আরাম দিতে পারে।
মাথাব্যথা
মাথার দু’পাশ থেকে দু’হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং তর্জনী দিয়ে দু’মিনিট চেপে ধরুন। এভাবে কয়েকবার করলে মাথাব্যথা কিছুটা কমতে পারে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া
নাকের অগ্রভাগের নরম জায়গাটি দু’পাশ থেকে তর্জনী ও বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে ৭-১০ মিনিট টিপে ধরুন।
দাঁত ব্যথা
লবঙ্গ চিবাতে থাকুন। তবে যে দাঁতটিতে ব্যথা তার কাছের দাঁতটি দিয়ে চিবালে ভালো হয়।