Entrepreneurship > Startup

জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ

(1/1)

Sultan Mahmud Sujon:


অভিকর্ষ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কোনো রকম জ্বালানি ব্যবহার ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন তরুণ উদ্ভাবক শাহিদ হোসাইন। তিনি এই প্রযুক্তির নাম দিয়েছেন ‘হেভি সার্কুলার মুভিং অবজেক্টস ট্রিগারিং এনার্জি কনভারসান টেকনোলজি’ বা হেকমত। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইতোমধ্যে ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্ল্যান্টও বসানো হয়েছে যা থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। প্রযুক্তিটিকে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনতে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ সহযোগিতা চাইছেন তিনি। গতকাল জাতীয় প্রেস কাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ও সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এম শমশের আলী। বক্তব্য রাখেন প্ল্যান্টের গবেষক শাহিদ হোসাইন, কাজী আব্দুস সামাদ, মাহবুব হোসেন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আবিষ্কৃত এই প্রযুক্তিটি পৃথিবীতে একেবারেই নতুন। এর আগে পানির গতি শক্তি ও ডিজেল বা অন্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর অভিকর্ষ ব্যবহার করে কোনো রকম জ্বালানি ব্যয় ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তি এই প্রথম। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের খরচ পড়বে মাত্র ৭৫ পয়সা। অপর দিকে ১০০ মেগাওয়াটের ডিজেল চালিত একটি প্ল্যান্ট স্থাপন এবং এক বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যেখানে স্বাভাবিকভাবে খরচ হয় সাড়ে ১২ শ’ কোটি টাকার মতো সেখানে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে খরচ হবে মাত্র ১৮ কোটি টাকা। তরুণ উদ্ভাবক শাহিদ হোসাইন নতুন এ প্রযুক্তিটির ব্যাপারে কাজ শুরু করেন ২০০৭ সালে। তারপর নানা পরীার মাধ্যমে ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সমতায় নিয়ে আসেন। দীর্ঘ দুই বছর প্রযুক্তিটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন বলে তিনি জানান। আরো বড় প্ল্যান্ট করে এর মাধ্যমে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎও উৎপাদন করা যাবে। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান।

Sourc

Navigation

[0] Message Index

Go to full version