বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যানকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর”- আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘নারী’ কবিতায় খুব স্পষ্টভাবেই সমাজে তথা সমগ্র বিশ্বে পুরুষের পাশাপাশি নারীর যে অবদান তা উল্লেখ করেছেন। তার মতে, নারীর ভূমিকা সমাজে পুরুষের তুলনায় কোন অংশেই কম নয় বরং সমান। কিন্তু পুরুষশাসিত সমাজে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীর এই অবদানের বিষয়টি অগোচরেই থেকে যায়।
নারী তার মেধা, মনন এবং অধ্যবসায় দিয়ে যত কাজই করুক না কেন দিন শেষে সে তার প্রাপ্য স্বীকৃতি হতে বঞ্চিত। অনেকেই বলে থাকেন নারীর এই দুরবস্থা শুধুমাত্র অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবতা হল পশ্চিমা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও নারীর প্রতি এই বৈষম্যমূলক আচরণ দেখা যায়। তবে কতিপয় নারী রয়েছেন যারা এই বৈষম্যমূলক আচরণের ধার ধারেন নি। যারা তাদের কর্ম দিয়ে আজ ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন। আজ আমরা জানব এমনই কতিপয় দিগ্বিজয়ী নারীর কথা। সেরকই কয়েকজন নারীর কথা তুলে ধরছি বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কমের পাঠকদের জন্য:
রানী ভিক্টোরিয়াঃ (জন্মঃ ১৮১৯, মৃত্যুঃ ১৯০১)
ইতিহাসের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারীর তালিকায় প্রথম স্থানে তিনি রয়েছেন কারন তিনি শুধুমাত্র ইংল্যান্ড শাসন করেছেন এজন্য নয় তিনি পুরো পৃথিবী শাসন করেছেন। ছয়টি মহাদেশই তার শাসনে ছিল। তার সাম্রাজ্য ছিল ১৪.২ মিলিয়ন বর্গ মাইল। তার শাসনামলে ৪০০ থেকে ৪৫৮ মিলিয়ন মানুষ তার সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।
রাশিয়ার কাথেরিন ২: (জন্মঃ ১৭২৯ সালে, মৃত্যুঃ ১৭৯৬ সালে)
কাথেরিন ২ আসলে "কাথেরিন দ্যা গ্রেট" নামে পরিচিত। তিনি পুরো রাশিয়া শাসন করেছেন টানা ৩৪ বছর ধরে আর ভৌগলিক দিক দিয়ে রাশিয়াই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ। ৩৪ বছর রাশিয়াকে সফল্ভাবে শাসন করার জন্য উনাকে আমি দ্বিতীয় স্থানে রেখেছি।
ইসাবেলা ১: (জন্মঃ ১৪৫১ খ্রিষ্টাব্দ, মৃত্যুঃ ১৫০৪ খ্রিষ্টাব্দ)
ইসাবেলা ১ কে ধরা হয় স্পেনের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারী যদিও এ বিষয়ে বিতর্ক আছে। তিনি ক্রিস্টফার কলম্বাসের সমুদ্র যাত্রায় পৃষ্ঠপোষকতাকারী হিসাবে স্মরণীয়। তিনি তার স্বামীর সাথে যৌথ ভাবে স্পেন শাসন করতেন। বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত তিনিই নিতেন।
সম্রাজ্ঞী থিওডোরাঃ (জন্মঃ ৫০০ খ্রীষ্টাব্দ, মৃত্যুঃ ৫৪৮ খ্রীষ্টাব্দ)
মধ্য যুগের গোড়ার দিকে থিওডোরা ছিলেন একজন প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাশালী নারী। তিনি বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য যৌথ ভাবে তার স্বামীর সাথে শাসন করতেন। রাজ্যের বেশির ভাগ কাজ হত তার আদেশে। তিনিই সম্ভবত সর্বপ্রথম নারীর অধিকার নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। তিনি অনেক চার্চ প্রতিষ্ঠা করেন।সাথে সাথে তিনি একজন ভাল অভিনেত্রীও ছিলেন।
- See more at:
http://www.bd24live.com/bangla/article/15142/index.html#sthash.kj3969GQ.dpuf