মিথেন গ্যাস। আপাত প্রাণহীন কোনো স্থানে বায়বীয় এ পদার্থের উপস্থিতি মানেই বিজ্ঞানীদের জন্য আশাবাদ। আশপাশে অবশ্যই মিলবে প্রাণের উপস্থিতি। কারণ পৃথিবীতে থাকা মিথেন গ্যাসের ৯৫ শতাংশই আসে জীবদেহ থেকে। একই কারণে নড়েচড়ে বসছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ মঙ্গলে পাঠানো নাসার রোবট কিউরিওসিটি সেখানে মিথেন গ্যাস এবং এর চিমনিসদৃশ গর্তের সন্ধান পেয়েছে।
মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে অনেক দিন ধরেই আশাবাদ বিজ্ঞানীদের। এ লক্ষ্যেই কিউরিওসিটির সেখানে প্রবেশ। কিছুদিন ধরে একের পর এক ছবি পাঠিয়ে চলেছে রোবটটি। পাঠানো ছবি এবং তথ্য সঙ্গে সঙ্গে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্যগুলো গ্রহটিতে স্বল্প পরিমাণ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতির কথা জানান দিয়েছে। বেশ কয়েকটি ছবিতে মিথেন নিঃসৃত হচ্ছে, এমন কিছু চিমনির অবস্থানও লক্ষ করা গেছে, যেগুলো স্বল্প সময় পর পর মিথেন নির্গত করে। স্বল্পকালীন এই চিমনিগুলোর কোনো কোনোটি ১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা।
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, মিথেনের উপস্থিতি পাওয়া গেলে তাঁরা নিশ্চিত হতে পারবেন যে এখন যদি নাও থাকে তবুও গ্রহটিতে কোনো একসময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। ২০১২ সালে পাঠানো কিউরিওসিটি ২০২০ সাল পর্যন্ত মঙ্গলের মাটিতে অবস্থান করবে। ওই বছর সেখানে মনুষ্যবিহীন প্রথম মিশন পরিচালনা করা হবে। অবশ্য এর আগে ২০১৯ সালে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি ৩০০ কেজি ওজনের আরেকটি রোবট যান পাঠাবে। সূত্র : বিবিসি।