পেটের সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল ফুড পয়জনিং। সাধারণত পচা, বাসি খাবার, অস্বাস্থ্যকর খাবার বা জীবানুযুক্ত খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরণের জীবানু দ্বারাও ফুড পয়জনিং হতে পারে।
ফুড পয়জনিং হলে সাধারানত পেটে ব্যথা, হজমে সমস্যা, ডায়রিয়া, বমি অনেক ক্ষেত্রে জ্বর হতে পারে। অনেক সময় ফুড পয়জনিং ও ডায়রিয়া আলাদা করা যায়না। তবে ফুড পয়জনিং হলে আমাদের যা করতে হবে,
১) এই ধরনের সমস্যা হলেই প্রথমেই ঘন্টা ২-৩ পানি এবং কোন ধরনের খাবার খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিন।
২) ঘন্টা ২-৩ পর সোডা জাতীয় কিছু পানীয় খান। তবে সাধারন্ত যেভাবে এই জাতীয় পানীয় খান তার থেকে অন্যভাবে পাণ করতে হবে এই সময়। প্রথমে এই পানীয়তে ১-২টি বরফ দেবেন এবং প্রতিটি সিপে অল্প পরিমানে সোডা খান। একসঙ্গে বেশি মাত্রায় পানীয় খেলে সমস্যা কমার বদলে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৩) অনেকক্ষন না খেয়ে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার খিদে পাবে। এইসময় খিদে পেলে হালকা এবং তরল জাতীয় খাদ্য খাবেন। অর্থাৎ স্যুপ, ওট মিল এই জাতীয় হালকা কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাদ্য এইসময়ের জন্য আদর্শ।
৪) যতক্ষন পর্যন্ত সুস্থ বোধ না করছেন, দুগ্ধজাতীয় খাদ্য একদম খাবেন না। দুগ্ধজাতীয় খাদ্য এই সময় খেলে অ্যাসিডিটি হয়ে ফুড পয়জনিং সাংঘাতিক রূপ নিতে পারে।
৫) এইসময়ে কোন ধরনের পেন কিলার বা ঐ জাতীয় ওষুধ একেবারেই খাবেন না। পেন কিলার জাতীয় ওষুধে যে ধরনের ড্রাগ থেকে তা খুবই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে আপনার শরীরে এই সময়।
৩) কাঁচা সবজি বা খাবারের থেকে রান্না করা খাবার নির্দিস্ট দূরত্বে রাখুন। কারণ কাঁচা খাবার থেকে জীবানু রান্না করা খাদ্যের সঙ্গে মিশে খাবারটি নষ্ট করে দিতে পারে।
৪) রান্না করার সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রায় খাবার তৈরি করুন। অতিরিক্ত গরম তাপে রান্না করা বা অত্যধিকবার খাদ্য ফোটানো একদিকে যেমন খাদ্যগুন কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে খাদ্যটি নষ্ট করে দিতে পারে যা থেকে ফুড পয়জনিং হওয়ার সবথেকে বেশি সম্ভাবনা থাকে।