মানুষের জীবন নিয়ে ভাবতেছিলাম। কারো ঘুমের ওষুধ খেতে হয় যাতে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। আবার কারো সকালে অ্যালার্ম দিয়ে রাখতে হয় যাতে সকালে ঠিক মত ঘুম ভাঙ্গে।
বাবা-মায়ের শাসন না থাকলে কারো পড়াশুনা হয় না। আবার কেউ বাবা-মায়ের আদরের কারনেই গোল্লায় যায়। স্বাস্থ্য বানানোর জন্য কারো বেশী খেতে হয়। আবার কারো স্বাস্থ্য কমানোর জন্য কম খেতে হয়। কেউ রাত জাগার জন্য চা কফি খায়। আবার কেউ সকালে ঘুমঘুম ভাব ভাঙ্গানোর জন্যও খায়। কেউ না খেতে পেয়ে লোভী হয়। আবার কেউ না খেতে পেয়ে ক্ষুধা সহ্য করা শেখে।
মানুষের মন কত অদ্ভুত। তাকে সব সময়ই সংগ্রাম করে যেতে হয়। যার পড়াশুনা করার কথা তার ওইটি বাদে আর সব কিছুই ভাল লাগে। যার অফিসে কাজ করার কথা তার কাজ করার আগ্রহ কম থাকে। যার ঘুমানোর স্কোপ কম তার বেশী ঘুম পায়। যে অবসর ফ্রি টাইম বেশী পছন্দ করে তার ফ্রি টাইম নাই।
আমাদের সবাইকে কত আর্টিফিশিয়াল জীবন যাপন করতে হয়। আমাদের ছোটবেলা থেকেই কত কিছু শিখতে হয়। সাথে সাথে কত অভ্যাস ভুলতে হয়। এই মনের স্বাদ আহ্লাদ মিটানোর জন্য মনকেই বেধে রাখতে হয়।
একসময় মনে হয় যে অভ্যাস অনেক কষ্ট করে ত্যাগ করা হয়েছে সেই অভ্যাসটাই ভাল ও ঠিক ছিল। আবার যা শিখেছি এতোদিন তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন জাগে। এইভাবেই কেটে যায় আমাদের জীবন। বুঝতে পারা যে ভুল্গুলোই আসলে ঠিক ছিল। কিন্তু ঠিক করার সময় আর নাই। কিংবা কে জানে আবার হয়তো ভুল করা হয়ে যাচ্ছে।
জীবনটা সেই শিক্ষার্থীর মত। অংক পরীক্ষায় শেষ মিনিটে যে দেখে অংকটি ভুল হয়েছে। তাই সে কেটে আবার ঠিক করে করতে গিয়ে বুঝতে পারে আগে যে অংক সে কেটে দিয়েছে - সেইটাই ঠিক ছিল। কিন্তু পরীক্ষার শেষ ঘন্টা পড়ে গেছে। সময় শেষ। তাই সে কোন মতে কাটা অংকের পাশে লিখে দেয় - "এই কাটা কাটা নয়।"
এক্সজামিনার অংকটিতে নম্বর দিয়েছিলেন কিনা সেইটা আমার জানা নাই।