পৃথিবীর সমগ্র কল্যানের মূলে রয়েছে ‘শিক্ষা’। তাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন ‘এলেম অজর্ন প্রত্যেকটি মানুষের জন্যই ফরজ। বুদ্ধরা বলেছেন, জ্ঞানীর পদপৃষ্ঠ আরসে আজিম। এই কথা সত্য যে, বর্তমানে নীতি ও আদর্শ বিচ্যুত শিক্ষা ক্রমে ক্রমেই গ্রাস করতে বসেছে আমাদের গোটা সমাজ কিম্বা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে। তথাকতিথ ‘শিক্ষা’ বা ডিগ্রী নিয়ে এক শ্রেনীর দুর্জন সমাজ কিম্বা রাষ্ট্রতন্ত্রের বিভিন্ন উচ্চ পদে বসে শুরু করে দিয়েছে লুটতরাজ। গড়ে তুলেছে ব্যক্তিক শক্তির দুভের্দ্ধ ব্যুহৃ। এতে জাতীয় জীবনে নেমে আসছে ভয়াবহ ঘন-ঘোর অন্ধকার। আমাদের দেশে বর্তমানে শিক্ষার সন্তেুাষজনক হলেও মানষিক ও আদর্শীক উন্নতি-তে রয়েছে চরম বিপর্যয়।
প্রত্যকটি মানুষের জীবনে শিক্ষা অত্যাবশ্যকীয়। কারণ শিক্ষা মানুষের পশুবৃত্তিকে দমন করে ‘বুদ্ধিবৃত্তি’ প্রসারে যুগযুগান্তকারী ভুমিকা পালন করে। সমাজ বা রাষ্ট্রকে যেহেতু মানবিক কল্যান সংস্থা বলে ধরে নেওয়া হয়; তাই এটিকে সুনিদিষ্ট বৃত্তি বা মানবিক গুনের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ‘আদর্শীক নীতি-জ্ঞান সমৃদ্ধ শিক্ষা/শিক্ষিত সমাজ প্রয়োজন।
আমাদের বর্তমানে সমাজ ব্যবস্থায় ‘আদর্শীক নীতি-জ্ঞান সমৃদ্ধ শিক্ষিত সমাজ অনেকাংশেই অনুপস্থিত। পাশ্চেত্যেও এই স-ুকৌশলি চিন্তার(পরাভূত) ভিত্তিহীন স্বচ্ছলী প্রলেপযুক্ত শিক্ষা সমাজ বা রাষ্ট্র উন্নয়নে অনেকটা মাকাল ফল হিসাবে পরিচয় দিযে আসছে। এক কথায় যার রুপ আসে কিন্তু গুন অনুপস্থিত। যেটির তীর্যক সৌন্দর্য মানুষকে কাছে টানলেও ভোগ অনুপযোগী। বর্তমানে মাকাল ফল সমতুল্য রুপ-সৌন্দয্যে স্বচ্ছল শিক্ষিতরা সমাজ কিম্বা রাষ্ট্রের ‘টেডিশনে’ পরিনত হচ্ছে। যাকে অনেকটাই রাষ্ট্র-দেহের মস্তিষ্কের অবক্ষয় সমতুল্য বলা যায়। ফলে জীবন-জীবনের কাছে লঞ্চিত ও পদ-পৃষ্ট হচ্ছে ক্রমাগতই। শ্রেষ্ঠ মনষীগনের হাজার বছরের মানব-কল্যানমুলক গবেষণা আজ অর্থের -অথৈই সাগরে হা-বু-ডু-বু খাচ্ছে। এতে করে এক শ্রেনী আভিজাত্যকামী অ-মানুষের স্বার্থ রক্ষার ব্যুহৃ প্রাচীর রচনা হচ্ছে। যারা মানুষকে টাকার জোড়ে ‘দাস’ বানিয়ে আনন্দ পায়।
মানুষ জন্মগত ভাবেই সত্যের উপর শ্রদ্ধাশীল বলেই সমাজের কাছে নিজেকে সৎ সুন্দর, নীতি-নিষ্ঠাবান হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চায়। এই সুমহানী চিন্তা-ভাবনার মূলে থাকে শিক্ষার সু-মহান প্রাপ্তি। কিন্তু শিক্ষার মাপকাটি যদি অর্থের মান-দন্ডে নিরুপিত হয় তাহলে সেই জাতির ধ্বংশ অনির্বায নয় কি!!!
অবশ্য অবশ্যই আমাদেরকে এই পথ পরিহার করে একটি সুচিন্তিত আদর্শীক পথে অগ্রসর হতে হবে। মুক্তচিন্তার দ্বার উন্মুচনের জন্য মাববিক কল্যাণমূলক গবেষণায় মগ্ন থাকতে হবে। আর্থীক কিম্বা শাররীক ভাবে নয়, আত্মীক-মানষিক ভাবে শিক্ষিত হতে হবে। এই ক্ষেত্রে অন্যন্য ভূমিকা পালন করতে হবে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সম্মানীত শিক্ষকবৃন্দগনকে। কারন শিক্ষকারাই হলে জাতির আদি-পিতা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকেও মোটা অংকের টাকা অথবা আর্থিক ব্যবসা বাদ দিয়ে; হতে হবে মাববিক মূল্যবোধ বিকাশের চারণ ক্ষেত্র -জাতি এটাই আশা করে।