শীতকাল চলে এলেই বাজারে নানারকম সবজির আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। যদিও এখন সমস্ত সব্জিই সারা বছর ধরে পাওয়া যায়। তবে শীতকালে ফুলকপি, মটরশুটি, পেঁয়াজকলি খেয়ে যে আনন্দ, তা অন্য সময় সেই আনন্দ উপভোগ করা যায় কি?
শীতকালে যে সব সবজি পাওয়া যায়, তা বাজারদর বেশি হলেও ভোজনরসিকদের তাতে কিছু এসে যায় না। শীতের ঠান্ডা আমেজে গরম গরম মটরশুটির কচুরি খেতে বাঙালি সব কিছুই পারে। শুধু খেয়েই সুখ নয়, এই সব্জির খাদ্যগুণও অপরিসীম। আজ আলোচনা করব মটরশুটির খাদ্যগুণ নিয়ে।
১. বিশেষজ্ঞদের কথায়, প্রতি ১০০ গ্রাম মটরশুটি থেকে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট তাকে ১৪.৫ গ্রাম, ফ্যাট ০.৫ গ্রাম ও প্রোটিন পাওয়া যায় ৫.৪ গ্রাম। এছাড়া ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে। সামান্য পরিমাণে ভিটামিন কে-ও থাকে মটরশুটিতে।
২. শিশু থেকে বড়- সকলেরই পছন্দের সবজি লো মটরশুটি। এই মটরশুটি খুব পুষ্টিকর খাদ্য।
৩. এই সবজিতে বেশ ভালো পরিমাণে তন্তু থাকায় পেট পরিস্কার রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
৪. রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা মটরশুটি কমায়।
৫. অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে এই সবজি দারুণ কাজ করে ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।।
৬. মটরশুটি ডায়াবেটিক রোগীরা খেতে পারেন। এছাড়া শরীরে হাড় শক্ত করতেও মটরশুটি খুব ভালো।
৭. ফলিক অ্যাসিড থাকায় প্রসূতি মায়েরা কড়াইশুটি খেতে পারেন।
৮ ত্বকের জন্যও মটরশুটি খুব উপকারি। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও চোখের দৃষ্টিশক্তিও বাড়িয়ে তোলে মটরশুটি।
মটরশুটি কাঁচা খাওয়া যেতেই পারে। বর্তমানে সমস্ত সব্জিতেই নানারকম রাসায়নিক ওষুধ দেয়া হয়।তাই খাওয়ার আগে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। অনেকে সেদ্ধ করেও খান।তবে সেদ্ধ করলে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের পরিমাণ কমে যায়। তরকারি রান্না করার সময়ও মটরশুটি দেয়া যেতে পারে।