“চিরতা” গুণঃ
ইউনানী ও কবিরাজি চিকিৎসা জগতে চিরতা বহুকাল ধরে একটি সুপরিচিত ঔষধ। আধুনিক যুগের সচেতন মানুষ এখন যে কোন কিছু গ্রহণ করার ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে জানতে চায়। মজার ব্যাপার হলো যে চিরতা নিয়ে খুব বেশী কোন আধুনিক গবেষনা পত্র প্রকাশ হয়েনি। যাই হোক, আজকের পোস্টের বিষয়বস্তু হলো- আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে চিরতার যেসব দোষ-গুণ জানা গিয়েছে তা আপনাদের অবহিত করা। পোস্টের উদ্দেশ্য দুইটি- ১) বিজ্ঞান সচেতন মানুষের কৌতুহল মেটানো ২) যেসব দেশী বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ভেষজের গুণাগুণ নিয়ে গবেষনা করছেন তাদের কে এই বিষয়ে গবেষনা করতে উৎসাহিত করা।
গুণঃ
১) চিরতায় থাকা chirantin, কালাজ্বর প্রতিরোধক।
২) চিরতায় থাকা Amaroswerin, পেটের নানা রোগ যেমন বদহজম, পেট ফাপা, ডায়রিয়া, কোষ্টকাঠিন্য ইত্যাদিতে উপকারী।
৩) চিরতা এন্টিসেপটিক এবং এটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন রোধেও কার্যকর।
৪) চিরতায় থাকা Swerchirin , ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় কার্যকর।
৫) এতে থাকা Swertiamarin , উচ্চ জ্বর নিয়ন্ত্রন করে।
৬) চিরতা কার্যকর ভাবে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রন করে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখে।
৭) চিরতায় থাকা xanthones, যক্ষার বিরুদ্ধে কার্যকর।
৮) সার্বিক ভাবে এটি লিভারের জন্যও উপকারী
দোষঃ
১) গর্ভবতী অবস্থায় চিরতার কোন সাইড এফেক্ট আছে কিনা এই বিষয়ে ব্যাপক কোন গবেষনা না থাকায়, ডাক্তার রা এই সময় চিরতা গ্রহণ করতে নিষেধ করেন।
২) যাদের অন্ত্রে আলসার আছে, তাদের চিরতা গ্রহণ করা উচিত নয়।
ডোজঃ
কতটুকু মাত্রায় চিরতা গ্রহণ করা উচিত সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন ব্যপক কোন গবেষনা হয়নি।