মাশরুম, দুধ ও আইসক্রিমের মতো খাবারগুলো দেখতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মনে হলেও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ খাবারগুলোর কারণে ডায়রিয়া, আমাশয় ও বমির মতো নানা রোগ হতে পারে। তাই শারীরিক সুস্থতায় এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
জেনে নিন শরীরের জন্য ক্ষতিকর যে ৯ খাবার:
টুনা মাছঃ টুনা মাছকে গরম অবস্থায় সংরক্ষিত করলে টক্সিন ছেড়ে দেয়; যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। শরীরের মার্কারিকে দূষিত করতেও ভূমিকা রাখে মাছটি। তাই গর্ভবতী মহিলাদের টুনা মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আইসক্রিমঃ প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা না হলে আইসক্রিম ডায়রিয়া ও আমাশয়ের মতো রোগ সৃষ্টি করে।
মাশরুমঃ অনেকের মাশরুমে এলার্জি আছে। আবার বিষাক্ত মাশরুম খাওয়ার কারণে অনেকের মৃত্যুও হতে পারে। তাই সঠিকভাবে না জেনে কখনই মাশরুম খাওয়া উচিত নয়।
কাঁচা সবুজ শাকঃ কাঁচা সবুজ শাকে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে। আবার ময়লা পানি দিয়ে ধোয়া এবং অপরিচ্ছন্ন জায়গায় সংরক্ষণ করার কারণেও এতে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়। তাই খাবারের পূর্বে অবশ্যই এগুলোকে ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে তারপর রান্না করা উচিত।
পনিরঃ সালমোনেলা বা লিসটারিয়ার মতো ব্যাকটেরিয়া থাকায় পনির গর্ভপাত ঘটাতে পারে। তাই চিকিৎসরা গর্ভবতী মহিলাদের পনির এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
অঙ্কুরিত মটরশুটিঃ এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই খাওয়ার আগে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধোয়া উচিত। তবে যতদূর সম্ভব প্রত্যেকের এ খাবারটি এড়িয়ে চলাই ভালো।
ডিমঃ ডিম সহজেই সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। তাই রান্না না করে এটি খাওয়া ঠিক নয়। নতুবা অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কাচা দুধঃ কাচা দুধে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকায় এটি শরীরের অসুস্থতার জন্য দায়ী। তাই দুধ ভালোভাবে না ফুটিয়ে কখনই খাওয়া ঠিক নয়।
ঝিনুকঃ সমুদ্রের গভীর লুকিয়ে থাকা ঝিনুকগুলো প্রচুর ব্যাকটেরিয়াসমৃদ্ধ। একই সাথে এগুলো জীবাণুতেও ভরপুর। কাজেই সঠিকভাবে রান্না না করে খাওয়া হলে বমি এবং ডায়রিয়ার মতো রোগ হতে পারে।