Health Tips > Food Habit
গাজর খান সুস্থ থাকুন
(1/1)
Karim Sarker(Sohel):
গাজর একটি মূলজ সবজি, বৈজ্ঞানিক নাম ডকাশ ক্যারোটা। গাজর যেমন পুষ্টিকর, তেমনি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। কারো কারো শরীরের বৃদ্ধি থেমে গেলে, শারীরিক ক্ষমতা কমে গেলে, খাদ্যদ্রব্য হজম হতে দেরি হলে, ত্বকের রোগ দেখা দিলে গাজর খুব উপকারী ভূমিকা পালন করে। শরীরে পুষ্টি ও বিকাশে গাজরের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণ সম্বন্ধে জেনে নেয়া যাক।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে গাজরে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান গুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। নিয়মিত গাজর খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলোন ক্যান্সার ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এর বিটা ক্যারোটিন আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের ক্যান্সারও প্রতিরোধ হয়।
বয়স ধরে রাখে
গাজরে অ্যান্টি এজিং উপাদান থাকায় এর ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত খাবার তালিকায় গাজর রাখলে শরীরের বয়সজনিত ছাপ কম হয়। বয়সের কারণে কোষের ক্ষতি রোধ করতে গাজরের ভূমিকা অনেক।
ইনফেকশন কমায়
কোনো যায়গা কেটে ছিঁড়ে গেলে অনেক সময় ইনফেকশন হয়ে যায়। কাটা ছেঁড়া জনিত ইনফেকশন এড়াতে গাজর খুবই কার্যকরী। তাই ইনফেকশন এড়াতে কাঁটা ছেঁড়া জায়গায় গাজর ব্লেন্ড করে লাগিয়ে নিন।
চোখের দৃষ্টি বাড়ায়
গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ চোখের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। চোখের দৃষ্টি ভালো রাখতে গাজর খুবই উপকারী।
ওজন কমায়
গাজরের সলিউবল ফাইবার হাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ গাজর হাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। ক্ষুধা লাগলে স্ন্যাকস না খেয়ে একটি বা দুটি গাজর খেয়ে নিলে পেটও ভরে আবার বেশি ক্যালোরীও যোগ হয় না।
শিশুর টনিক
শিশুদের জন্য গাজরের জুস টনিকের কাজ করে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গাজরের জুসের সঙ্গে মধু ও কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও রাতে এক গ্লাস করে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমে যাবে।
Navigation
[0] Message Index
Go to full version