অ্যালার্জি বাড়ে তা নয়, শীতেও হতে পারে অ্যালার্জি। সর্দি, হাঁচি-কাশির সাধারণ লক্ষণ। তবে এ ধরনের সমস্যা হলেই যে তা অ্যালার্জির কারণে হচ্ছে, ব্যাপারটি তেমন নয়।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম এ আজহার বলেন, সর্দি, নাক থেকে পানি পড়া বা হাঁচির সঙ্গে যদি জ্বর থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এটি কোনো জীবাণুর সংক্রমণের কারণে হয়েছে। তবে এ ধরনের সমস্যার সঙ্গে যদি জ্বর না থাকে, তাহলে তা ঠান্ডায় অ্যালার্জির কারণে হতে পারে।
কী করে বুঝবেন?
অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলে হাঁচি ও নাক থেকে পানি পড়ার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ঠান্ডায় অ্যালার্জিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি কাশি থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে কাশি হয় হাঁপানিজনিত কারণে। তবে এসব লক্ষণের কোনোটির সঙ্গে যদি জ্বর থাকে, তাহলে সমস্যাটির জন্য অবশ্যই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মতো কোনো জীবাণু দায়ী।
প্রতিকার
অ্যালার্জির কারণে খুব বেশি হাঁচি পড়া বা নাক থেকে পানি পড়ার মতো সমস্যা হলে অ্যান্টিহিস্টামিনজাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এ ছাড়া অ্যালার্জি বা অ্যাজমার কারণে কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ইনহেলার ব্যবহার করতে হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন ধরে নাক বন্ধ থাকলে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আর অ্যালার্জির লক্ষণের সঙ্গে জ্বর থাকলে সেটি অ্যালার্জি নয়, বরং এটি জীবাণুর সংক্রমণ বোঝায়। ভাইরাসজনিত কারণে এ সমস্যাগুলো হয়ে থাকলে তা সপ্তাহ খানেক পরে ভালো হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। আর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এসব সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো নির্দিষ্ট মেয়াদে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে পারেন।
প্রতিরোধের উপায়
ঠান্ডায় অ্যালার্জিজনিত সমস্যা এড়াতে অধ্যাপক এম এ আজহার দিয়েছেন আরও কিছু পরামর্শ-
ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না।
ঠান্ডা আবহাওয়ায় অবশ্যই গরম কাপড় পরে থাকতে হবে।
অতিরিক্ত ঠান্ডা পরিবেশে না যাওয়াই ভালো।
গরম চা কিংবা গরম কফি পানে উপকার পাবেন।
ভাত-তরকারি বা যে খাবারই খাওয়া হোক না কেন, তা গরম খাওয়াই ভালো।
collected