রাতের পালায় কাজ করার ফলে ঘুমের অনিয়ম হয়। এতে স্বভাবতই মানুষের শরীরের ক্ষতি হয়। তা ছাড়া এভাবে রাত জাগার কারণে ফুসফুসের ক্যানসার ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। মৃত্যুহার বেশি হওয়ার একটি কারণও এটি। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।গবেষণায় দেখা যায়, যেসব নারী পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময় ধরে রাতের পালায় কাজ করেন, তাঁদের হৃদ্রোগসহ নানা কারণে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। আর যাঁরা ১৫ বছর বা ততোধিক বছর কাজ করেন, তাঁদের ফুসফুসের ক্যানসারে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।প্রতিমাসে একজন ব্যক্তি দিনের কোনো সময় বা সন্ধ্যায় যে কাজ করেন, তার অতিরিক্ত অন্তত তিন রাত কাজ করাকে ‘রাতের পালার কাজ’ হিসেবে ধরা হয়েছে ওই গবেষণায়। এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন আমেরিকান জার্নাল অব প্রিভেনটিভ মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক ইভা শার্নহ্যামার বলেন, মানুষের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ুর ওপর রাতের পালায় কাজ করার সম্ভাব্য ক্ষতিকর সম্পর্ক নিয়ে আগেও তথ্যপ্রমাণ মিলেছিল। নতুন গবেষণাটি এতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।শরীরের অভ্যন্তরীণ জৈব রাসায়নিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া ঠিকমতো সম্পন্ন করতে নিয়মিত ঘুমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আর হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতা ও ক্যানসার বা টিউমাররোধী কার্যকলাপের জন্যও ঘুম জরুরি। শার্নহ্যামার বলেন, বিশ্বজুড়ে রাতের পালায় কাজ করেন—এমন কর্মীদের একটি বড় অংশের ওপর তাঁরা গবেষণা চালিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ৭৫ হাজার নার্সের প্রায় সবাইকে এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৬ থেকে ১৪ বা ১৫ বছর ধরে রাতের পালায় কাজ করে অভ্যস্ত নারীদের মৃত্যুর সব ধরনের ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি। ১৫ বছর বা আরও বেশি সময় ধরে রাতের পালায় কর্মরত মানুষের ফুসফুসের ক্যানসারে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৫ শতাংশ বেশি। আইএএনএস।