« on: January 08, 2015, 11:25:25 AM »
চালু হওয়ার ছয় বছরে আমাদের সৌরজগতের বাইরে প্রায় দেড় লাখ নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছে নাসার কেপলার মিশন। এদের মধ্যে হাজারখানেক গ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর অল্পস্বল্প মিল পাওয়া যায়। কারো সঙ্গে আকৃতি, কারো সঙ্গে আবহাওয়া, কারো সঙ্গে এর নিকটতম সূর্য থেকে দূরত্ব। কিন্তু যে কারণে মিশনটির সূত্রপাত, সে ধরনের উপযুক্ত গ্রহ- যেখানে পৃথিবীর মতো প্রাণ ধারণ সম্ভব- এর কূল-কিনারা কোনো মতেই মিলছিল না।
অবশেষে শিকে ছিঁড়েছে বিজ্ঞানীদের কপালে। অর্ধযুগ পেরিয়ে সম্প্রতি এমন দুটো গ্রহের সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন, যাদের সম্ভাব্য 'যমজ পৃথিবী' হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। সূর্য থেকে গ্রহ দুটির দূরত্ব বিবেচনায় তাঁরা এগুলোকে প্রাণ ধারণের উপযোগী বলে ধারণা করছেন। আকার-আকৃতিতে এগুলো প্রায় পাথুরে, এদের পৃষ্ঠও পৃথিবীর মতোই সমতল। এসব তথ্যানুযায়ী, গ্রহটিতে পানি থাকার সম্ভাবনা প্রবল। যা প্রাণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
গ্রহ দুটির নাম রাখা হয়েছে কেপলার-৪৩৮বি ও কেপলার-৪৪২বি। এদের মধ্যে কেপলার-৪৩৮বির দূরত্ব পৃথিবী থেকে ৪৭০ আলোকবর্ষ। নিজের সূর্যকে এটি মাত্র ৩৫ দিনে প্রদক্ষিণ করতে পারে। এর ব্যাস পৃথিবী থেকে প্রায় ১২ শতাংশ বড়। গ্রহটি পাথুরে হওয়ার সম্ভাবনা কমপক্ষে ৭০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
কেপলার-৪৪২বি তার নিজের সূর্যকে ১১২ দিনে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী থেকে এক হাজার ১০০ আলোকবর্ষ দূরের এ গ্রহটিরও পাথুরে হওয়ার সম্ভাবনা দুই-তৃতীয়াংশ। পৃথিবী থেকে এটি প্রায় তিনগুণ বড়। সূত্র : এএফপি।Source:
http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2015/01/08/172816#sthash.KDVquoGW.dpuf

Logged
Md. Abdur Rumman Khan
Senior Assistant Registrar