খাবার মেন্যুতে শিশুদের অপছন্দের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে সবজি। কিন্তু শীতকাল হচ্ছে এমন একটি মৌসুম, যখন বাজারে অঢেল শাকসবজি।
শীতকালীন সবজির মধ্যে গাজর দেখতেও সুন্দর খেতেও মজা। শীতের সালাদ গাজর ছাড়া ভাবাই যায় না। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৪১ কিলোক্যালরি রয়েছে। অর্থাৎ, গাজরে মোটা হবার কোন ভয় নেই। ভিটামিন-এ ভরা এই সবজি রান্নার চেয়ে কাঁচা খেতেই বেশ মজার। গাজরের হালুয়ার তো জবাব নেই।
নানা রকম কপির ভেতর ফুলকপি রান্না করে খাওয়া হয়। সালাদেও অনেকে কাঁচা ফুলকপি খান। এছাড়া সবজি স্যুপ তৈরিতে ফুলকপি লাগবেই। এতে ক্যালরি খুবই কম। প্রতি ১০০ গ্রামে মাত্র ২৬ কিলোক্যালরি। তাজা ফুলকপি ভিটামিন সি-এর উৎস। এছাড়া ফুলকপি আমাদের দেহের খনিজ পদার্থও জোগায়।
অন্যসব সবজির মত শালগম এত মুখরোচক না হলেও এটি বেশ উপকারী একটি সবজি। শালগম খেলে দেহ পাবে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও আয়রন।
কপির ভেতর বাঁধাকপি আমার খুব মজা লাগে। বাধাকঁপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'কে'। বাঁধাকপি আমাদের হাড়ের রোগ থেকে বাঁচায়।
শীতকালীন সবজির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো শিম। শিমের বীজে রয়েছে প্রোটিন, যা আমদের শরীর গঠনে সাহায্য করে বাজারে শিমের বীজ ভাজা বাদামের মতোই বিক্রি হয়।
যারা সালাদ খেতে ভালবাসে সে টম্যাটোও ভালবাসতে বাধ্য। কিন্তু কাঁচা টম্যাটো খেতে বললে অনেকেই না করে। কিন্তু কাঁচা টম্যাটো আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। টম্যাটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি', যা আমাদের দাঁতের ক্ষয় থেকে বাঁচায়। এছাড়া শশা, ব্রকলি, মটরশুটি, ক্যাপসিকামসহ নানা রঙের দেশি-বিদেশি সবজি ও ফলমূল এই শীতে আমাদের দেশেও পাওয়া যাচ্ছে।
শীত গেলেই এসব সবজি আর এতো তাজা পাওয়া যায় না। এত গুণাগুণও থাকে না। সব চেয়ে বড় কথা শীতের সবজ শীতকালিন রোগ প্রতিরোধ করে।