পিঁপড়া যে কৌশলে দল বেঁধে হেঁটে চলে, তা অনুসরণ করে আমরা সবাই যদি গাড়ি চালাই—যানজট অনেক কমে যাবে। ভারতের একদল বিজ্ঞানী এমনটাই দাবি করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওতে (এনপিআর) এ খবর প্রচারিত হয়েছে।
.ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক অপূর্ব নাগর বলেন, পিঁপড়াদের চলাচলে জট না লাগার তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, তারা অহংকার দেখানোর লক্ষ্যে অন্যদের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে না। দ্বিতীয়ত, ছোটখাটো সংঘর্ষ হলে তারা সেগুলো উপেক্ষা করে এবং জটলা না পাকিয়ে হাঁটা অব্যাহত রাখে। আর তৃতীয়ত, চলার পথে নিজেদের সংখ্যা বেশি হলে পিঁপড়ারা শৃঙ্খলা অনুসরণের প্রতি বেশি মনোযোগী হয়। তারা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সরলরেখায় দ্রুত চলতে শুরু করে এবং নিরবচ্ছিন্ন গতি বজায় রাখে। অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে আচমকা লাফ দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার জন্যও তারা প্রস্তুত থাকে।
এসব কৌশল বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, পিঁপড়ার দলের এগিয়ে চলার ধরনের সঙ্গে মানুষচালিত মোটরগাড়ির চেয়ে কম্পিউটারচালিত গাড়ির চলার মিল বেশি। একটি গাণিতিক সূত্রেরÜ(ফর্মুলা) মাধ্যমে প্রাণীটির দলবদ্ধ চলাচলের কৌশল ব্যাখ্যা করতে পারবেন বলে আশাবাদী অপূর্ব নাগর। এতে রাস্তায় চলাচলের ইতিবাচক কৌশল অবলম্বনের ব্যাপারে মানুষ উপকৃত হতে পারে।
পিঁপড়ার চলাচল বিশ্লেষণ করে অপূর্ব ইতিমধ্যেই একটি নমুনা বা মডেল তৈরি করেছেন। তবে এটি মানুষের জন্য কতটা কাজে লাগবে তা অস্পষ্ট। কারণ মোটরগাড়িগুলো পিঁপড়ার মতো একে অপরকে অনুসরণ করে দীর্ঘ যাত্রায় যাওয়ার জন্য ঠিক উপযোগী নয়। এ ব্যাপারে একটি গবেষণা প্রতিবেদন ফিজিক্যাল রিভিউ ই সাময়িকীতে প্রকাশিত হবে।
সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট।