Faculty of Engineering > EEE
ইউরোপ ভ্রমণে টাকা বাঁচানোর উপায়
(1/1)
abdussatter:
সমগ্র ইউরোপেই ভ্রমণের আগে অনলাইনে যাচাই-বাছাই করে কমদামে বিমান টিকিট, হোটেল ইত্যাদি বুকিং দেওয়া যায়। তবে সেখানে যাওয়ার পরে কিভাবে কম খরচে ভ্রমণ করবেন? এ বিষয়ে ২০টি পরামর্শ দিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি ভাড়া বা ট্যাক্সি ক্যাব নিতে হলে কিছুটা হেঁটে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে যেতে হবে। স্ট্যান্ডের থেকে দূরে অন্য কারো হাতে আপনার ব্যাগ দেবেন না। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্যে কালো ক্যাবের ভাড়া বেশি কিন্তু ‘রেডিও কার’-এর ভাড়া কম। রেডিও কারকে সাধারণত ফোন করে ডাকতে হয়। এছাড়া ট্যাক্সির লাইনে দাঁড়ানো অবস্থাতে কেউ এসে আপনার লাইন ভেঙে কোনো ট্যাক্সিতে চড়তে উৎসাহিত করতে চাইলেও তাতে সাড়া দেবেন না।
২. পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুন। ইউরোপে রয়েছে কম খরচের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সুগঠিত বাস যোগাযোগ। এ ব্যবস্থাগুলোর খরচও অনেক কম। আর স্টেশনগুলোর অনুসন্ধানে যোগাযোগ করলে আপনি অত্যন্ত সহায়তাপূর্ণ আচরণ পাবেন।
৩. প্যারিস, লন্ডন, বার্সিলোনা, রোম, প্রাগ, ভিয়েনা- যেখানেই যান না কেন, সবখানেই রয়েছে দারুণ হাঁটার ব্যবস্থা। আর কাছাকাছি দূরত্বে হেঁটে গেলে অনেক কিছু জানা ও দেখা যাবে।
৪. অধিকাংশ সময়েই টিপস বা বখশিশ দিতে হবে না। যুক্তরাষ্ট্রে রেস্টুরেন্টের ওয়েটারদের যেমন টিপস দিতে হয় তেমন ইউরোপে ‘দিতেই হবে’-এমন কোনো কথা নেই। ইউরোপে সার্ভিস চার্জ রেস্টুরেন্টের বিলেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর কর্মীদের পর্যাপ্ত বেতনও দেওয়া হয়। তাই বখশিশ দিলেও সাধারণত তার পরিমাণ এক ইউরোর বেশি না হলেও চলে।
৫. ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টে দোকানে কম দামে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়।
৬. মধ্যপ্রাচ্যের ও এশিয়ান খাবারের দোকানগুলো ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে আছে। এগুলোতে কমদামে খাবার পাওয়া যায়। যুক্তরাজ্যে সুলভ খাবারের জন্য বিখ্যাত ‘ফিশ অ্যান্ড চিপস’-এর দোকান সর্বত্রই রয়েছে।
৭. টেবিলে বসার তুলনায় দাঁড়িয়ে খাওয়ার রেস্টুরেন্ট ও বারের বিল কম হয়। তাই হালকা খাবার বা পানীয় এগুলো থেকেই সংগ্রহ করুন।
৮. একাধিক দিন থাকার প্রয়োজনে ফ্ল্যাট ভাড়া করুন। এতে হোটেলের তুলনায় খরচ অনেক কম হবে।
৯. সুযোগ থাকলে নিজেই রান্না করুন। এতে খরচ অনেক কম হবে।
১০. হাঁটার সুযোগ থাকলে তা বাদ দেবেন না। এছাড়া ‘ফ্রি ওয়াকিং টুরস’ বলে একটি বিষয় রয়েছে। যেখানে পর্যটকদের বিনামূল্যে ঘুরিয়ে দেখানো হয়। এতে কিছু বখশিশ কিংবা তাদের দেওয়া সেবা অর্থের বিনিময়ে গ্রহণ করলেই চলে।
১১. ইউরোপের বিভিন্ন চার্চ কিংবা ধর্মীয় নানা প্রতিষ্ঠানে একেবারে বিনা খরচে থাকা যায়। তবে এক্ষেত্রে কিছু অনুদান দেওয়াটা রীতি।
১২. মূল্যবান পোস্টকার্ড না কিনে তার বদলে ছবি তুলুন। এতে আপনার ফটোগ্রাফির হাতও খুলে যেতে পারে।
১৩. মোবাইল ডেটা অনেক সময় খুবই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজনে অনলাইনের ব্যবহার সীমিত করে নিন।
১৪. আপনার দেশে যে জিনিসটি পাওয়া যায়, তা ভ্রমণের সময় বেশি দাম দিয়ে কেনার কোনো প্রয়োজন নেই।
১৫. উপহার কেনার সময় সাবধান। একেবারে না কিনলেই নয়, এমন জিনিসগুলোই কিনুন।
১৬. সুপার মার্কেটের ভেতর একটি স্থান থাকে যেখানে ক্লিয়ারেন্সের জিনিসগুলো পাওয়া যায়। কোনোকিছু কেনার আগে এ স্থানটি খুঁজে দেখুন।
১৭. আর্থিক মূল্য আপনার দেশের মুদ্রার সঙ্গে বিবেচনা করুন। আপনি যদি ডলারে কিনতে অভ্যস্ত হন তাহলে ইউরোর সঙ্গে ২০% অর্থ যোগ করে নিন। যদি টাকার হিসাবে অভ্যস্ত হন তাহলে ১ ইউরো সমান প্রায় ৯০ টাকা কিংবা ১ পাউন্ড সমান প্রায় ১১৮ টাকা, বিষয়টি বিবেচনা করুন।
১৮. অনলাইনে কম খরচের খাবার, সিনেমা, হোটেল ইত্যাদি আগে থেকেই অনুসন্ধান করুন এবং তা তালিকাবদ্ধ করে রাখুন।
Esrat:
:)
taslima:
nice information
mostafiz.eee:
Very interesting.
tanvir28:
:D
Navigation
[0] Message Index
Go to full version