প্রতিদিনই আমাদের নানা বিষয়ে হুটহাট করে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো সাতপাঁচ ভাবারও সময় থাকে না। কিন্তু সিদ্ধান্ত তো ভেবেচিন্তেই নেওয়া উচিত।তবে, স্নায়ুবিজ্ঞানীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, আটপৌরে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষ যত দেরি করে, ভুল করার আশঙ্কাও তত বাড়তে থাকে এবং আত্মবিশ্বাসও তত কমতে থাকে। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানীদের এ গবেষণার খবর জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রুজবেহ কিয়ানি বলেন, মানুষ অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার নিরিখেই সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক সময় একটা বিষয়ে তাদের কাছে এত শক্তিশালী সব সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকে যে সিদ্ধান্ত নিতে মোটেই দেরি হয় না এবং দ্রুত নেওয়া সিদ্ধান্তটাও সঠিকই হয়। কিন্তু কখনো কখনো কিছু বিষয়ে অনেক হাতড়িয়েও কোনো কূলকিনারা পাওয়া যায় না। এসব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয় এবং ভুল করার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
মার্কিন এই গবেষক আরও বলেন, মানুষের মস্তিষ্ক অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সময়ক্ষেপণ করার সঙ্গে ভুলের আশঙ্কা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবের যোগসূত্র থাকতে পারে। ফলে মস্তিষ্ক কেবল কোনো বিষয়ের সাক্ষ্যপ্রমাণে অনুসন্ধান করে না, সেসব খুঁজে পেতে কতটা সময় লাগছে তাও বিবেচনা করে। আর এই সাক্ষ্য ও তা খুঁজে পাওয়ার সময়ের হিসাব মেলানোর পরই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পালা আসে।
গবেষণা প্রতিবেদনটির সহ লেখক মাইকেল শাডলেন বিষয়টা ব্যাখ্যা করে বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের এই প্রক্রিয়ায় আসলে একটা ‘বিশ্বাসের সূচক’ তৈরি করে মস্তিষ্ক। কোনো বিষয়ে আমাদের মন কী বলছে বা আমরা আসলে কী অনুমান করছি, তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কতক্ষণ ধরে ভাবছি তার হিসাব মিলিয়ে এই সূচক তৈরি করা হয়।
এসব প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ শেষে গবেষণার ফলে বলা হয়েছে-কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যক্তি যত কম সময় নেয়, সেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে ব্যক্তির আত্মবিশ্বাসও ততটাই বেশি থাকে। গবেষণা প্রতিবেদনটি নিউরন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
Collected.....