১)আড়মোড়া ভাঙ্গুন
একটানা কাজ করতে থাকলে কাজের ফাঁকে হাত পা ছড়িয়ে একটু আড়মোড়া ভেঙে নেবেন তা আপনি যেখানেই থাকুন না কেন। তবে খুব জোরে ও দ্রুত নয়। ধীরে ধীরে। এতে মেরুদণ্ডের আড়ষ্টতা দূর হবে এবং একটানা বসে থাকার ফলে মেরুদণ্ডে যে চাপ পরে তা দূর হবে, ফলে পথ ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
২) অনেকক্ষণ একটানা শুয়ে-বসে থাকবেন না
অনেকটা সময় একটানা বসা বা শোয়া কোনটাই মেরুদণ্ডের জন্য ভালো কাজ নয়। কিন্তু অনেকেই অফিসে বসা কাজ বেশি করে থাকেন বলে একটানা বসে থাকতে হয়। তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ২০-২৫ মিনিট পরপর উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে নেবেন। যদি তাও না পারেন তবে নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে কাটিয়ে নিন ৫ মিনিট। এতেও উপকার পাবেন।
৩) নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন
যারা বসা কাজ করেন তারা দিনে কায়িক পরিশ্রম করার সময়ই পান না। দেখা যায় পুরো দিন যায় ডেস্কে বসে মাথা খাটানোর কাজ করে এবং দিন শেষ বাসায় ফিরে বিছানায় শুয়ে। এগুলো মেরুদণ্ডের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দিনে অন্তত ১০-১৫ মিনিট শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করা উচিত। সব চাইতে ভালো হয় যদি ব্যায়াম করতে পারেন অথবা হাঁটাহাঁটি করে নিতে পারেন।এতে মেরুদণ্ড সহ দেহের সকল জয়েন্ট ব্যথা থেকে মুক্ত থাকবে।
৪) মেরুদণ্ড বা পিঠ সোজা করে বসুন
অনেকেই আছেন যারা বসার সময় পিঠ বাঁকা করে সামনের দিকে ঝুঁকে বসেন। বিশেষ করে উচ্চতায় লম্বা মানুষজন এই কাজটি করেন অনেক বেশি। এই কাজটি একেবারেই করবেন না। কারণ বাঁকা হয়ে বসলে মেরুদণ্ডের জয়েন্টে চাপ পড়ে অনেক বেশি। এবং এই কারণেই পিঠ ব্যথা হয় অনেকাংশে। এবং বয়স হলে এই সমস্যার কারণে কুঁজো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বসার সময় যতোটা সম্ভব পিঠ সোজা করে বসুন।
৫) ধূমপান করবেন না
গবেষণায় দেখা যায় ধূমপান মেরুদণ্ডের নিচের দিকের স্পাইনগুলোতে রক্ত সঞ্চালনে প্রদান করে থাকে। এতে করে মেরুদণ্ডের মেরুরজ্জু শুকিয়ে আসে। যার ফলে পিঠ ব্যথা জনিত সমস্যা এবং মেরুরজ্জু শুকিয়ে গেলে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ধূমপানের বাজে অভ্যাস ত্যাগ করুন।