কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ফেসবুক ব্যবহারের ফলে বন্ধুত্বের এক বিশাল বলয় তৈরি হয়। তারা থাকে একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল। এ দায়িত্বশীলতা থেকে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে। ক্লাস, পড়াশোনা, পরীক্ষাসহ যেকোনো নীতি-নির্ধারণী বিষয়ে সজাগ থাকে। ফলে ফেসবুক ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো নম্বর পায়।
সম্প্রতি এক গবেষণা জরিপে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, ফেসবুকের বহুমুখী ব্যবহার শিক্ষার্থীদের ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গে লিংক শেয়ারিং এবং চেকিং হচ্ছে ভালো নম্বর পাওয়ার ইতিবাচক দিক।
ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১ হাজার ৬শ’ কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর ওপর জরিপ চালিয়ে এ গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপলাইড ডেভেলপমেন্ট সাইক্লোজি জার্নালে এটি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণা জরিপের নেতৃত্ব দেওয়া আইওয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সহকারি অধ্যাপক রেইনল জাঙ্কো বলেন, যদি শিক্ষার্থীরা তাদের স্যোসাল মিডিয়ার বন্ধুদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে তাহলে দেখা যাবে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিও দায়বদ্ধ থাকছে। এটিই হচ্ছে একাডেমিক সাফল্যের মূল অংশ।
জরিপে বলা হয়, যারা ফেসবুক ব্যবহার করে না তারা বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে না। বর্তমান এ ভার্চুয়াল যুগে সব যোগাযোগ স্যোসাল মিডিয়াকেন্দ্রিক। ফলে প্রতিষ্ঠানের হঠাৎ করে নেওয়া সিদ্ধান্ত তারা জানতে পারে না। অনেকের আবার পরীক্ষা মিস করার ঘটনাও ঘটেছে। আর যারা এর সঙ্গে জড়িত থাকে তারা প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণী অনেক বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, উচ্চ ডিগ্রি অর্জনের প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা এ মাধ্যম ব্যবহারে উপকৃত হতে পারে। এমনকি শিক্ষকরা এ মাধ্যমে ছাত্রদের সাহায্য করে থাকেন। পাশাপাশি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পিতামাতারাও এ মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।
Collected........