বর্তমানে ইন্টারনেটে ভিডিও শেয়ারে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমটির নাম ইউটিউব। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্যান ব্রুনোতে এটির সদরদপ্তর।
ভিডিও শেয়ারের বিপ্লব ঘটিয়ে দেয়া এ আইডিয়ার উদ্ভাবক ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের সাইট পেপলের তিন তরুণ কর্মকর্তা। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হওয়া সাইটটির জনপ্রিয়তা দেখে পরের বছর নভেম্বরে ১.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এটি কিনে নেয় গুগল।
এই সাইটে বিনামূল্যে ভিডিও আপলোড, দেখা এবং শেয়ার করা যায়। ভিডিও দেখানোর জন্য এটিতে অ্যাডোব ফ্ল্যাশ এবং HTML5 প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু এই নামটা এলো কীভাবে? ইউটিউবের তিন প্রতিষ্ঠাতা চাদ হার্লে, স্টিভ চেন এবং জাবেদ করিমও কখনো এ কথা পরিষ্কার করে বলেননি।
তবে এই সাইটটি চালু করার পর ডোমেইন নাম নকল করার অভিযোগে মামলা করেছিল
www.utube.com নামে ওয়েবসাইটের মালিক প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সাল টিউব অ্যান্ড রোলফর্ম ইকুইপমেন্ট (Universal Tube & Rollform Equipment)। তাদের সাইটে গিয়ে এতোবেশি মানুষ ইউটিউব সার্চ করা শুরু করে যে প্রায়ই ওভারলোড হয়ে যেত। বাধ্য হয়ে ২০০৬ সালের নভেম্বরে মামলাটি করে তারা। অবশ্য পরে তারাই ডোমেইন নাম পরিবর্তন করে
www.utubeonline.com রাখে।
ইউটিউবের তিন প্রতিষ্ঠাতা: হার্লে, চেন ও করিম
ধারণা করা হয়, ইউটিউব নামটি এই সাইটটির আদলেই করা হয়েছিল। কারণ এদের কার্যক্রমও অনেকটা এমন ছিল।
তাছাড়া টিউবের (tube) সমার্থক কিন্তু টেলিভিশন (tv)। অর্থাৎ যেটাতে চলচ্চিত্র দেখা যায় সেটাই টিভি। অর্থাৎ ইউটিউব মানে দাঁড়ায় ‘আপনার টিভি’। যদিও টিভিতে ভিডিও আপলোড বা শেয়ার করার কোনো অপশন নেই!
Collected.