Health Tips > Health Tips
শীতে সর্দি-কাশি থেকে বাঁচার সহজ উপায়
(1/1)
Karim Sarker(Sohel):
শীতের সময়টায় সবারই স্বাস্থ্যহত কিছু সমস্য হয়। সে জন্য খুব বেশি টেনশন না নিয়ে একটু সচেতন হলে ঘরে বসে নিজেই নিজের শশ্রুষা করা সম্ভব। তাছাড়া শীতের হাত থেকে বাঁচতে হলে সবসময় ডাক্তারের শরনাপন্ন হলেও চলবে কেন তাই আসুন জেনে নেয়া যাক কিছু স্বাস্থ্য কৌশল যা আপনাকে রাখবে ফুরফুরে।
পায়ের ‘ডায়াপার’ কোনো জার্মানকে যদি দেখেন পায়ের গুল বা ডিমে ভেজা কাপড় জড়িয়ে শুয়ে আছেন, তাহলে বুঝবেন যে তিনি জ্বরের সঙ্গে লড়ছেন। আসলে কপালের চেয়ে পায়ে খোলা জায়গা অনেক বেশি। তাই পায়ে পানি ভেজা কাপড় জড়ালে তাপমাত্রা দ্রুত কমে আসে৷ এক্ষেত্রে জার্মানদের পরামর্শ হচ্ছে কাপড়টি কুসুমকুসুম গরম পানিতে ডুবিয়ে পায়ের গুলে পানি-পট্টির মতো ধরুন এবং ৩০ মিনিট পর সরিয়ে নিন৷
স্কার্ফ ইঙ্গিত বহন করে ঘরের মধ্যে ঢিলেঢালা স্কার্ফ পরে থাকাটা ফ্যাশন৷ তবে সেটা ‘টাইট’ করে বসে পরে থাকাটা অসুস্থতার লক্ষণ। স্কার্ফ ব্যবহার করেন গলা ব্যাথা কমানোর এবং ভাইরাস যাতে ‘টন্সিলাইটিস’-এর রূপ না নেয়, তা ঠেকানোর জন্য৷
ঘাড়ে ঠান্ডা! ঘরের সব দরজা জানালা খোলা রুখন যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে। মনে রাখতে হবে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের অভাবে ঘাড় ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, ঠান্ডা, এমনকি ইনফ্লুয়েঞ্জাও হতে পারে।
দু’বার সেঁকা বিস্কুট এবং কোলড্রিংস অসুস্থতা থেকে রক্ষার আরেকটি ভালো উপায় হলো দুবার সেঁকা ব্রেড বা বিস্কুট খাওয়া। ডায়রিয়া বা বমি হলে এ ধরনের বিস্কুট খান। সঙ্গে আবার কোল্ড ড্রিংক্সও পান করতে পারেন। এতে খাওয়ার সহজে হজম হয়। কথা হচ্ছে, বিস্কুট উপকারী হতে পারে, কেননা এতে লবণ রয়েছে। কিন্তু কোল্ড ড্রিংক্স কীভাবে উপকারী হয়? এতে থাকা ক্যাফেইন যে ‘মূত্রবর্ধক’!
শান্তি দেয় ক্যামোমিল জার্মানরা বিশ্বাস করেন ঠান্ডার বিভিন্ন উপসর্গ, এমনকি ব্যথা এবং যন্ত্রণা বিলুপ্ত হতে পারে যদি ক্যামোমিল লবণ মেশানো পানির মধ্যে শরীর ডুবিয়ে রাখা যায়৷ বিজ্ঞানও বলছে ক্যামোমিলে ব্যথা কমানোর উপাদান রয়েছে। এবং এটা শুধু জার্মান নয়, সবার জন্যই প্রযোজ্য৷ তবে ডাক্তররা বলছেন, এটা ২০ মিনিটের বেশি করলে উল্টে ক্ষতি হতে পারে।
দুধ এবং মধু শুকনো, বিরক্তিকর কাশি ঠেকাতে কি মধু মেশানো এক কাপ গরম দুধ কাজে লাগতে পারে? মধু আসলে উপকারী৷ ২০০৭ এবং ২০১২ সালে মার্কিন গবেষণায় দেখা গেছে পরিমিত মাত্রার মধু রাতের বেলা শিশুদের কাশি প্রতিরোধে সহায়তা করে৷
পেয়াজও নাকি উপকারী! গুজব রয়েছে পেয়াজ নাকি ভাইরাস সারাতে জাদুর মতো কাজ করে। আর তাই জার্মানিতে পেয়াজের জুস পানের প্রবণতা রয়েছে। যদিও এরকম পানীয় ‘রিহাইড্রেটে’ সহায়ক, তা সত্ত্বেও বৈজ্ঞানিকভাবে ভাইরাস সারাতে পেয়াজের জুস উপকারী হতে পারে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। তাছাড়া এটি দেহে বমির ভাব সৃষ্টি করতে পারে।
Collected......
Navigation
[0] Message Index
Go to full version