Befits of nursing and its sunhats

Author Topic: Befits of nursing and its sunhats  (Read 1248 times)

Offline rumman

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1020
  • DIU is the best
    • View Profile
Befits of nursing and its sunhats
« on: November 21, 2014, 04:05:07 PM »
স্বভাবতই মানুষ রোগকে ভয় পায়। অসুস্থ হলে হতাশায় ভেঙে পড়ে। কারণ এতে অসহনীয় কষ্ট এবং মৃত্যুর ভয় থাকে। ইসলামের মূল আদর্শ হলো মানুষ তার চলাফেরা, খাওয়াদাওয়ায় এমন নীতি গ্রহণ করবে না, যাতে রোগভোগের আশঙ্কা থাকে। তবে কোনো মুসলমান রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লে ইসলামে তার প্রতিদান ও ফজিলত অনেক। এমনকি মুসলমান অসুস্থাবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে শহীদের মর্যাদা পাওয়ার কথাও হাদিসে এসেছে। (ইবনে মাজাহ ১/৫১৫ হা. ১৬১৫)
সুতরাং রোগ হতাশা এবং ভয়ের কারণ নয়; বরং রোগ আল্লাহর একটি নিয়ামত। তদুপরি রোগীর দেখাশোনা ও সেবা-শুশ্রূষাও একটি ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) রোগীর সেবা-শুশ্রূষা করা, তাকে সান্ত্বনা দেওয়াকে সর্বোচ্চ সৎকাজ এবং গ্রহণযোগ্য ইবাদত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। রাসুল (সা.) স্বয়ং রোগীদের ঘরে গিয়ে তাদের দেখাশোনা করতেন এবং তাদের সঙ্গে এমন কথা বলতেন যাতে তাদের মনে প্রশান্তি আসত, দুশ্চিন্তা হালকা হয়ে যেত।
রোগীর শুশ্রূষাকারীর ফজিলত
হজরত আবু মূসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা ক্ষুধার্তদের অন্ন দাও, রোগীদের সেবা করো এবং বন্দিদের মুক্তি দাও। (বোখারি ১০/১১২ হা. ৫৬৪৭)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোনো রোগীকে সেবা করতে যায়, আকাশ থেকে একজন আহ্বানকারী তাকে লক্ষ করে বলেন, তুমি মুবারক হও এবং মুবারক হোক তোমার এই পদচারণা। তুমি জান্নাতে নিজ আবাস তৈরি করে নিলে। (ইবনে মাজাহ ১/৪৬৪, হা. ১৪৪৩)
হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা যখন কোনো রোগীর কাছে যাবে, তার জীবন সম্পর্কে আনন্দদায়ক কথা বলবে, তাকে সান্ত্বনা দেবে। (এ সান্ত্বনার বাণী) ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবে না, যা ঘটার তা-ই ঘটবে, কিন্তু তার মন সান্ত্বনা লাভ করবে। যা রোগীকে দেখতে যাওয়ার আসল উদ্দেশ্য। (তিরমিজি ৪/২৫ হা. ২০৯৪)
রোগীর সেবা-শুশ্রূষার সুন্নত-পদ্ধতি
১. অজুসহকারে রোগী দেখতে যাওয়া- হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে লোক ভালো করে অজু করে এবং একমাত্র সাওয়াবের উদ্দেশ্যে কোনো অসুস্থ মুসলমান ভাইকে দেখতে যায়, তাকে দোজখ থেকে ষাট বছরের রাস্তার সমপরিমাণ দূরে রাখা হবে। (আবু দাউদ ৩/৪৭৫ হা. ৩০৯৭)
২. রোগীর সামনে দোয়া পড়া- রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, কোনো মুসলমান রোগী দেখতে গিয়ে এই দোয়াটি সাতবার পাঠ করলে মৃত্যুরোগ ছাড়া সব রোগ থেকে সে মুক্তি পাবে ইনশা আল্লাহ। দোয়াটির উচ্চারণ- "আসআলুল্লাহাল আজীম, রাব্বাল আরশিল আজীম আঁইয়াশফিয়াক"। (আবু দাউদ ২/৮৬) রাসুল (সা.) অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেলে বলতেন, "লা বা'সা তাহুরুন ইনশা আল্লাহ"। (বুখারি ১/৫১১)
৩. রোগীর সামনে তার রোগকে বড় করে না দেখানো- হাদিস শরিফে এসেছে, রোগীর সামনে এমন কথা বলা, যাতে সে সান্ত্বনা লাভ করে। (তিরমিজি ৪/২৫ হা. ২০৯৪)
৪. রোগীর সামনে বেশিক্ষণ না থাকা- হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন "রোগী দেখার সময় হলো উটের দুধ দোহনের সময়পরিমাণ।" হজরত সাঈদ ইবনে মাসইয়্যাব (রহ.)-এর একটি মুরসাল বর্ণনায় আছে- "রোগী দেখার উত্তম পন্থা হলো রোগীর কাছ থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে আসা।" (বায়হাকি শু'আবুল ইমান ৬/৫৪২ হা. ৯২২১, ৯২২২)
৫. রোগীর অবস্থা বুঝে তার শরীরে হাত দিয়ে অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা- রোগীর পূর্ণ শুশ্রূষা হলো কপাল বা হাতে হাত রেখে জিজ্ঞেস করা যে- কেমন আছেন? (তিরমিজি ৪/৩৩৪)
৬. রোগীর কাছে নিজের জন্য দোয়া চাওয়া- হজরত উমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা কোনো রোগীকে দেখতে গেলে তার কাছে নিজের জন্য দোয়া চাও। কারণ তার দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার মতোই। (ইবনে মাজাহ ২/১৯১ হা. ১৪৪১)
আরেকটি হাদিসে এসেছে, রোগী যতক্ষণ সুস্থ হয়ে না ওঠে, ততক্ষণ তার দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। (আত্তারগিব ওয়াত্তারহীব)
৭. রোগীর সামনে উচ্চ আওয়াজে কথা না বলা- হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, সুন্নাত হলো, রোগীর পাশে কম বসা, বড় আওয়াজে কথা না বলা। (রযীন)
৮. মুমুর্ষু রোগীর পাশে ইয়াসীন সুরা পাঠ করা- হজরত মা'কাল ইবনে ইয়াসার (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা মৃতদের (মুমুর্ষু ব্যক্তিদের) পাশে ইয়াসীন সুরা পাঠ করো। (আবু দাউদ ৩/৪৮৯ হা. ৩১২১)

মাওলানা রিজওয়ান জমীরাবাদী
Source://www.kalerkantho.com/print-edition/dhormo/2014/11/14/150667#sthash.J1txI2gO.dpuf

Md. Abdur Rumman Khan
Senior Assistant Registrar