কার জন্য কতটা ঘুম দরকারি?

Author Topic: কার জন্য কতটা ঘুম দরকারি?  (Read 915 times)

Offline Sahadat

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 305
  • Test
    • View Profile
আমাদের জীবনের এক তৃতীয়াংশ কেটে যায় ঘুমে। কিন্তু ঘুম নিয়ে আমাদের মাথাব্যথার শেষ নেই। কম ঘুমাবেন, নাকি বেশী ঘুমাবেন, ঠিক কতক্ষণ ঘুমাবেন তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেকেই। আসলে কতক্ষণ ঘুম শরীরের জন্য ভালো?

ঘুম কম হওয়াতে ক্লান্ত হয়ে থাকেন অনেকে। আবার ভালো ঘুম না হওয়াতেও অবসাদ দেখা যায় অনেকের মাঝে। সমস্যা হলো, একই পরিমাণ ঘুম কারও জন্য যথেষ্ট আবার কারণ জন্য কম। কেউ কেউ অল্প কয়েক ঘন্টার ঘুমেই দিব্যি সুস্থ থাকেন, কিন্তু এ ঘটনা বেশ বিরল। আবার কেউ কেউ এর পুরো বিপরীত, তাদের মোটামুটি ১১ ঘন্টা ঘুম না হলে চলে না।

ঘুমের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো জেনে রাখলে আপনার মোটামুটি কতক্ষণ ঘুম দরকার, তা বোঝা যেতে পারে। এই পাঁচটি ব্যাপার জেনে রাখলে নিজের ঘুমের প্যাটার্ন বুঝতে পারবেন আপনি।

১) ডাক্তারের সাধারণত ৭-৯ ঘন্টা ঘুমের উপদেশ দিয়ে থাকেন
কেন ৭-৯ ঘন্টা? কারণ বেশিরভাগ মানুষ এ পরিমাণ ঘুমিয়ে সুস্থ থাকেন। এই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দলে আপনার পড়ার সম্ভাবনাই বেশী।

২) দেহঘড়ি অনুযায়ী আপনার ঘুমের সময় ঠিক করতে হবে
সবার দেহঘড়ি আলাদা নিয়মে চলে। মোটামুটি চার ধরণের নিয়ম বা ক্রনোটাইপ আছে। এক ধরণের মানুষ দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে আর রাত করে জেগে থাকে। কেউ কেউ আবার একদম সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়েন আর জলদি ঘুমাতে যান। এই দুই ছাড়াও মাঝামাঝি দুইটি প্রকরণ আছে, যারা ঘুম থেকে একটু দেরি করে ওঠে আর একটু দেরি করে ঘুমাতে যায়। এদের মাঝে একটি দল সকালে ও বিকালে ঝিমুনি অনুভব করে, অন্য দলটি সবসময়েই ফুরফুরে থাকে।

আপনি যদি সব সময়েই ক্লান্ত ও বিরক্ত অনুভব করতে থাকেন, তবে সম্ভবত আপনি নিজের দেহঘড়ি অনুযায়ী ঘুমাচ্ছেন না। নিজের ঘুমের সময় একটু অদলবদল করে দেখুন কোন সময়টি আপনার মানিয়ে যাচ্ছে।

৩) জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিমাণ ঘুম দরকার হয়
৭-৯ ঘন্টা ঘুম দরকার প্রয়াপ্তবয়স্ক মানুষের। কিন্তু বাচ্চাদের ঘুম বেশী দরকার হয়, আর কিছু বৃদ্ধ মানুষের দরকার হয় কম। শুধু তাই নয়, কখন ঘুমাতে যাবেন, কখন ঘুম থেকে উঠবেন এসব ব্যাপারে অর্থাৎ ক্রনোটাইপেও আসে পরিবর্তন। বাচ্চারা সাধারণত বেশ সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ে, তারুণ্যে রাত জাগে আর ২০ বছর বয়সের পর আবার সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস হয়ে যায়।

৪) ক্রনোটাইপ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন
যদিও ক্রনোটাইপ এবং ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই জেনেটিক, তবে নিজের সাথে মানিয়ে নেবার জন্য কিছু কাজ করতেই পারেন। বিশেষ করে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়তে কিছু কৌশল কাজ করে। জানালার পাশে ঘুমালে সকালের রোদ ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করবে। একইভাবে রাত্রে ঘর অন্ধকার করে বসে থাকলে ঘুম আসবে সহজে।

৫) প্রত্যেকের ঘুমের প্রয়োজনীয়তা আলাদা
যত গবেষণাই হোক না কেন, সবার ঘুমের প্রয়োজনীয়তা এক নয়, ব্যক্তিবিশেষে তারতম্য থাকবেই। কিছুদিন নিজের শরীরের অনুভূতি অনুযায়ী ঘুমিয়ে দেখুন। যখন ক্লান্তি লাগে তখন ঘুমাতে যান, প্রাকৃতিকভাবে ঘুম ভেঙ্গে উঠুন। এ সময়ে এড়িয়ে চলুন ক্যাফেইন এবং ধূমপান। দিনের বেলায় কিছুটা রৌদ্র গায়ে লাগান, আর ব্যায়ামও করুন পরিমিত। দেখবেন শরীর নিজস্ব নিয়মে একটা ঘুমের রুটিনে পড়ে গেছে। এ রুটিন অনুযায়ী ঘুমালে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়। তবে এর পরেও সমস্যা হতে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

(মূল: Kevin Loria, Business Insider)

Sahadat