Health Tips > Health Tips
সর্দি-কাশি সারাতে রসুন!
(1/1)
Sahadat:
কনকনে শীতে সর্দি, কাশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। ঘরের ঠাণ্ডা মেঝেতে একবেলা হাঁটলেই সর্দি লেগে যাচ্ছে। সেই ঠাণ্ডায় নাক-টাক বন্ধ হয়ে একেবারে একাকার। সর্দি, কাশি হলে বড়রা তো ওষুধ খেয়েই পার পেয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ছোটোদের নিয়ে। চাইলেই সোনামণিকে ধরে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল কিংবা সিরাপ খাওয়ানো যায় না। তাই প্রাকৃতিক ওষুধের দ্বারস্থ হওয়া ভালো।
প্রতিদিনকার তরকারিতে ব্যবহার্য রসুন সর্দি, কাশি কমাতে বেশ সহায়ক। শুধুমাত্র যে বড়দের বেলায় তা কিন্তু নয়, বরং রসুন ছোটোদের বেলায়ও দারুণ কার্যকরী। রসুনের আছে অ্যান্টিসেপটিক গুণাবলী, যা বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। শরীর থেকে হুট করে জ্বর কমাতে রসুনের বিকল্প নেই।
প্রতিদিন একটি রসুনের কোয়া খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সর্দি, জ্বর, কাশি হলে রসুন খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারেন। কাঁচা রসুন খাওয়ার মতো কষ্ট করতে হবে না। বরং তরকারি রান্না করার সময় একটি আস্ত রসুন দিয়ে দিন। ভাত খাওয়ার সময় সেই রসুন সবাই মিলে খান।
আস্ত রসুনের কোয়া খেতে ভালো না লাগলে ডালে বেশি করে রসুন দিয়ে দিন। তাহলে এমনিতেই খাওয়া হয়ে যাবে।
বাচ্চারা রসুনের কোয়া খেতে না চাইলে তাদেরকে গারলিক স্যুপ তৈরি করে দিতে পারেন। গারলিক স্যুপ খেতে না চাইলে চিকেন স্যুপেই বেশি করে রসুন দিয়ে মিনিট দশেক জ্বাল দিয়ে পরিবেশন করুন। অবশ্য খেতে দেওয়ার আগে রসুনের কোয়াগুলি তুলে ফেলে দিন।
চটজলদি সর্দি, কাশি কমাতে রসুনের তেলও ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে গারলিক অয়েল খুব বেশি একটা পাওয়া যায় না বললেই চলে। সেজন্য নিজেই তৈরি করে নিন গারলিক অয়েল।
সাধারণ সয়াবিন তেল কিংবা অলিভ অয়েল একটা কড়াইতে নিয়ে কয়েক কোয়া রসুন ছেড়ে দিন। তারপর লাল লাল করে তেল ভেজে নিন। হয়ে গেলো আপনার গারলিক অয়েল।
এই তেল নানা অসুখে ব্যবহার করতে পারবেন আপনি। হালকা গরম করে ছোট বাচ্চাদের বুকে মালিশ করে দিলে ঠাণ্ডা দৌড়ে পালাবে। এছাড়া সর্দি, কাশি দূর করার জন্যও এই তেল কার্যকরী। চাইলে খাবারে, রান্নায় কিংবা স্যুপেও এই গারলিক অয়েল ব্যবহার করা যায়।
Navigation
[0] Message Index
Go to full version