Health Tips > Health Tips
অসাধারণ গুণে সমৃদ্ধ সাধারণ খেজুর
(1/1)
Sahadat:
বেহেস্তি ফল হিসেবে প্রতিটি মুসলিম হৃদয়ে পবিত্রতার সঙ্গে খেজুরের স্থান। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খেজুর প্রতিটি মানব দেহের জন্য সুখবার্তা স্বরূপ। খেজুরের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ ও বি৬, এমিনো এসিড, মিনারেল, ফলিক এসিড, আমিষ, শর্করাসহ একাধিক খাদ্যগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। তাই সুস্থতার হাতিয়ার হিসেবে খেজুরের পুষ্টিমান সম্পর্কে প্রত্যেকের জানা দরকার।
* প্রাকৃতিক আঁশে পরিপূর্ণ খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায় অনেকাংশে।
* অন্তসত্ত্বা নারীরা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। খেজুর জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সঙ্কোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে সন্তান প্রসব সহজ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রসব-পরবর্তী কোষ্টকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমাতে খেজুরের তুলনা হয় না।
* বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য খেজুর খুবই উপকারি একটি খাবার। খেজুর মায়ের দুধের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
* খেজুরে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।
* খেজুর অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। ভিজিয়ে রাখা খেজুর খেলে খাবারে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে।
* খেজুর রুচি বাড়ায়, হজমশক্তি বাড়ায়, যকৃত ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক ও ত্বককে ভালো রাখে।
* খেজুর রক্ত উৎপাদন করতে সাহায্য করে। তাই খেজুরকে রক্ত উৎপাদনকারীও বলা হয়।
* খেজুর হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। হৃৎপিণ্ড দুর্বল মানুষের জন্য খেজুর হতে পারে নিরাপদ ওষুধ।
* খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয় এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে।
* খেজুর শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে।
* যকৃতের সংক্রমণে খেজুর উপকারী। এছাড়া গলা ব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি এবং ঠাণ্ডায় খেজুর উপকারী।
* খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর সহায়ক। তাই চোখের সমস্যায় ভোগা রোগীরা সাচ্ছন্দ্যে খেজুর খেতে পারেন।
* অন্ত্রের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধে খেজুর অনেক সহায়ক। অপরদিকে, খেজুর অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে।
Navigation
[0] Message Index
Go to full version