Entertainment & Discussions > Story, Article & Poetry

কানাঁ বগের গল্প-

(1/1)

Mohammad Nazrul Islam:
আমরা কানাঁবগা। জীবনের প্রথম ভাগ থেকে-ই, কাদাঁ বসে মাছ শিকারে অপেক্ষমান! দিনের স্বচ্ছল আলোতেও ছ্যানীপড়া-চোঁখে আবছায় সারা দিন নোংরা-কাদাঁ বসে থাকার আবশ্যকীয়তা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছি। তাই ধ্যান-তীর্থে থাকায়-ই আমাদের কর্ম। কারণ সময়ের চেয়ে জীবনের হিসাবই আমাদের কাছে মূখ্য। অন্যেরা খাওয়াতে বাচেঁ, আর আমরা বাচাঁর জন্য খাই..।

সারা দিন শিকার ধরার ধ্যানে মগ্ন থাকি। প্রতিদিন দুরে থাক, জীবনে কম সময়ই আমাদের পেট-পুড়ে। ক্ষুধার তীব্রতার চেয়ে শিকার ধরার আনন্দে আমরা সময় পার করি!! অনেকটা---- 

‘প্রতিপনার নিরন্ত প্রয়াস তব মনো বাঞ্চা;
এক ফোটাঁ পানি পানে ধন্য হবে আশা’।

হাটুঁ জলের মাছগুলো খুবই দূরন্ত। তারা অধিকাংশ সময়ই আমাদের ধোঁকা দেয় গোত্রীয় কাঁনাবগা ভেবে। অসারত্বে-লোকচুরি খেলে-ছলনার মনোবাঞ্চায়। যদিও আহারে পেটপুরে মোদের কদাচিৎ অসার-নিরিহ-নির্বোধ অ-চলা চুনুপুুটি তরে। তাই আমরা বগা সমাজে অ-চলায়ণে পদ-পৃষ্ঠ, অনেকটাই তারা শংকরের ‘ভবানীচরন’ বলতে পারেন।

আমাদের গোত্রীয় প্রতি-বগারা গভীর জল থেকে থাবা মেরে বা খাব্বি খেয়ে বড় বড় শিকার ধরে  ‘বগা-গোত্রের সুনামের দ্বারা অব্যাহত রেখে চলেছে। আনন্দে হৃদ হর্ষে সুস্বাস্থ্যে দিন যাপন করছে। ওরা ঘোলা কিম্বা স্বচ্ছ উভয় পানিতেই শিকার ধরাতে পারদর্শী। শুচাকৃতির ধারালো ঠোটের আঘাতে সমাজের সবচেয়ে পিচ্ছলদেরকেও সহজে শিকারে পরিনত করছে। আর আমরা অ-সারতায় অব্যয়। হতো এভাবে চলবে আমাদের জীবন। তবু আশাহত নই। তাই, এক পায়ে দাড়িয়ে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে আশার গান করেছি-

‘এখনো অস্ত যায়নি সূর্য, সহসা হবে শুরু
অম্বরে ঘন ডম্বরে-ধ্বনি, গুরু-গুরু-গুরু।
আকাশ বাতাসে বাজিতে এ কোন ইন্দ্রের আগমনী?
শুনি, অম্বদি-কম্বু- নিনাদে ঘন বৃংহিত ধ্বনি।
বাজিবে চিক্কুর হ্রেষা -হষর্ণ-মেঘ-মন্দিরা মাঝে;
সাজিবে একদিন আষাঢ় হয়তো প্রলয়ংকর সাঁজে।
-

Navigation

[0] Message Index

Go to full version