Religion & Belief (Alor Pothay) > Allah: My belief

‘আয়াতুল কুরসি’ এবং ‘আল্লাহর কুরসী’ বলতে কি বোঝায়? আয়াতুল কুরসীর ফযীলত কি?

(1/1)

arefin:
সুরা বাক্বারাহর ২৫৫ নাম্বার আয়াতকে ‘আয়াতুল কুরসী’ বলা হয়। কুরসী অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্ তাআ’লার পা রাখার জায়গা। আয়াতুল কুরসীতে তাওহীদ, ইখলাস, আল্লাহর ইসমে আযম, আল্লাহর ক্ষমতা ও সিফাত, ‘আল্লাহর কুরসির’ মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বর্ণিত হয়েছে। এইজন্যে এই আয়াতটি হচ্ছে ক্বুরানুল কারীমের শ্রেষ্ঠ আয়াত এবং সহীহ হাদিসে এই আয়াতটি বিভিন্ন সময়ে পাঠ করার অনেক ফযীলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। অনেকে মনে করেন, আয়াতুল কুরসী হচ্ছে সুরা বাক্বারাহর ২৫৫ ও ২৫৬ নাম্বার, এই দুইটা আয়াত। এটা ভুল! সুরা বাক্বারাহর শুধুমাত্র ২৫৫ নাম্বার আয়াতটিকেই আয়াতুল কুরসি বলা হয়, ২৫৬ নাম্বার আয়াত আয়াতুল কুরসির অন্তর্ভুক্ত নয়।
আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়লে তাবীজ-কবজ, যাদু, চোখের নজর, জিনের আসর বা ক্ষতি ও অন্যান্য বিপদ আপদ থেকে সুরক্ষা করে। প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে একবার করে আয়াতুল কুরসি পড়লে মৃত্যুর পরে রয়েছে জান্নাত। শয়তানের প্রভাব এবং ভূত-প্রেত থেকে বাঁচার জন্য আয়াতুল কুরসি পাঠ করা পরীক্ষিত একটি আমল।
আয়াতুল কুরসী হচ্ছে ক্বুরানুল কারীমের শ্রেষ্ঠ বা সবচাইতে মর্যাদাবান আয়াতঃ
আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ (রাঃ) নবী করিমকে (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল (সাঃ) বললেন, “আয়াতুল কুরসি”।
নাসায়ি, আহমাদ।
প্রত্যেক ফরয সালাত শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠ করার ফযীলতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর ‘আয়াতুল কুরসী পাঠ করে মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবেনা”।
নাসায়ী, ইবনু হিব্বান, হাদীস সহীহ, ইমাম ইবনে হিব্বান ও শায়খ আলবানী।
ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসী পাঠ করার ফযীলতঃ
ক. সকাল পর্যন্ত তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন হেফাজতকারী (ফেরেশতা) তাকে নিরাপত্তা দেবে।
খ. শয়তান তার কাছে আসতে পারবেনা।
“যখন তুমি বিছানায় ঘুমুতে যাবে তখন আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার উপর সব সময় একজন হেফাযতকারী (ফেরেশতা) নিযুক্ত থাকবে এবং ভোর পর্যন্ত শয়তান তোমার ধারে কাছেও আসতে পারবে না।”
সহীহ বুখারী, খন্ড ৬, অধ্যায় ৬১, হাদিস নং- ৫৩০।
بسم الله الرحمن الرحيم
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
আয়াতুল কুরসীঃ আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল ক্বাইয়ূম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহু মা ফিস্-সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মাং যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইন্দাহু ইল্লা বি-ইয্নিহি। ইয়া‘লামু মা বায়না আয়দীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহীতূনা বিশাইয়িম্-মিন ‘ইলমিহী ইল্লা বিমা-শা’-আ; ওয়াসি‘আ কুরসি-ইয়ুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ; ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুম, ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ুল ‘আযীম।
বাক্বারাহ ২/২৫৫।
অর্থঃ আল্লাহ! যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোন তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে যে তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসী সমগ্র আসমান ও যমীন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলির তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান।
_________________________
‘আল্লাহর কুরসী’
‘আল্লাহর কুরসী’ অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্ তাআ’লার পা রাখার জায়গা।
আল্লাহর কুরসী কত বড় সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ বলেন,
﴿وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَۖ﴾
উচ্চারণঃ ওয়াসি‘আ কুরসি-ইয়ুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ।
অর্থঃ তাঁর (আল্লাহর) কুরসী (অর্থাৎ পা রাখার জায়গা) সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে।
কুরসী আল্লাহ তাআ’লার বৃহৎ সৃষ্টির একটি। আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লা কুরসির বর্ণনায় বলেন যে, আল্লাহর কুরসী আকাশ এবং যমীন পরিব্যপ্ত হয়ে আছে। তার প্রশস্ততা, আকৃতির বড়ত্বতা এবং ক্ষেত্রের বিশালতার কারণে। ভূমণ্ডল এবং নভোমন্ডলের তুলনা কুরসীর সাথে খুবই ক্ষীণ তুলনা। যেমন কুরসীর তুলনা আরশের সাথে দুর্বল তুলনা।
আবূ যর (রাঃ) বলেন, আমি মসজিদে হারামে প্রবেশ করি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে একাকি দেখে তার পাশে বসে পড়ি এবং জিজ্ঞাসা করি, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার প্রতি নাযিল হওয়া কোন আয়াতটি শ্রেষ্ঠ? তিনি বলেন, “আয়াতুল কুরসী; আল্লাহর কুরসী এতো বড় যে, কুরসীর তুলনায় আসমান এবং যমীন যেন মরূভূমিতে পড়ে থাকা একটি আংটির মতো। আর আরশের শ্রেষ্ঠত্ব কুরসীর প্রতি যেমন মরূভূমির শ্রেষ্ঠত্ব সেই বালার প্রতি”।
[হিল্ইয়াহ, ১/১৬৬, আযামাহ, ২/৬৪৮-৬৪৯, আসমা ওয়াস সিফাত, বায়হাকী, ২/৩০০-৩০১, শাইখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। সিলসিলা সহীহাহঃ ১০৯)]

Shamim Ansary:
আয়াতুল কুরসী শুদ্ধভাবে অর্থসহ-

fahad.faisal:
Thank you for sharing.

tokiyeasir:
Thanks....

Md. Al-Amin:
Thanks for the heart touching holy post .

Navigation

[0] Message Index

Go to full version