শরীর গঠনের জন্য শুধু ব্যায়াম করলেই চলে না। নির্দিষ্ট মাত্রায় পানীয় ও খাবার গ্রহণ করতে হয়। আর এ ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু নিয়ম-কানুন। এ লেখায় থাকছে তেমন পাঁচটি নিয়ম।
১. ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে খাওয়া
ব্যায়াম করার পর দ্রুত খেয়ে নেওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বিশেষ করে আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া ভালো। ব্যায়াম আপনার দেহের মাংসপেশি, অস্থিসন্ধি ও হাড়ের ওপর চাপ দেয়। আর সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ না করলে তা শরীর দুর্বল করে দেওয়া ছাড়াও নানা ক্ষতি ডেকে আনবে।
২. প্রোটিন ছাড়াও অন্যান্য বিষয় ভাবুন
প্রোটিন মাংসপেশি গঠনে ভূমিকা রাখে-এটা সত্য। কিন্তু প্রোটিনের কাজে লাগতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। তাই দ্রুত শরীরের ঘাটতি মেটাতে প্রয়োজন ফ্যাট ও ফলের জ্যুসের মতো পুষ্টিকর তাজা খাবার।
৩. বাস্তববাদী হোন
আপনি যা খাচ্ছেন, তা দিয়েই দেহ গঠিত হবে। আপনার দেহ সব সময় নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যায়। আপনার দেহকে তাই শিল্প-কারখানার প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিয়ে পরিচ্ছন্ন ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। এতে নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ সহজ হবে।
৪. অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ নয়
ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি দেহের যে পরিমাণ ক্যালরি কমালেন তার চেয়ে বেশি যদি খেয়ে নেন তাহলে তা কোনো কাজে লাগবে না। তাই মাত্রাতিরিক্ত খাবার নয়, বরং পরিমিতিবোধ রাখতে হবে।
৫. পানির অভাব পূরণ
ব্যায়ামের ফলে দেহ থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। এতে সৃষ্ট পানিশূন্যতা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। পানি পানের জন্য সময় নির্ধারণও জরুরি। ব্যায়াম শুরুর ১৫ মিনিট আগে অল্প পানি (দুই কাপ) পান করে নিতে পারেন। এরপর ব্যায়ামের মধ্যে প্রতি ১৫ মিনিট পর পর অল্প পরিমাণে (আধাকাপ করে) পানি পান করা যেতে পারে।
-হাফিংটন পোস্ট অবলম্বনে