IT Help Desk > Use of PC
যে ক্লিকে সর্বনাশ
(1/1)
Lazminur Alam:
প্রতিদিনের প্রায় সব ধরনের কাজই এখন সহজে করা যাচ্ছে মাউসের ক্লিকে বা আঙুলের ছোঁয়াতেই। তবে অনেক সময় এই এক ক্লিকই ডেকে আনতে পারে সর্বনাশ! ভুল ও অসতর্ক ব্যবহারে যন্ত্রের ক্ষতিসহ নানা ধরনের ক্ষতির কবলে পড়তে হয় অনেককেই। ই-মেইল বা ফেসবুকে অনেক সময় আয় করার হাতছানি, লটারি জেতার সংবাদ বা জনপ্রিয় কোনো তারকার ভিডিও ও ছবির লিংক থাকে, যেটাতে ক্লিক করতে বলা হয়। এসবে ক্লিক করা মানেই সর্বনাশ!
ক্লিকে ক্লিকে আয়:
ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে দেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে বিভাগ অনুযায়ী কাজগুলো তালিকা আকারে দেওয়া থাকে। সাময়িক সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে ফ্রিল্যান্সাররা কাজগুলো সম্পন্ন করেন। কিন্তু কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট এবং সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হয় যে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে শুধু ক্লিক করেই টাকা উপার্জন করা যাচ্ছে। বিপুলসংখ্যক লোক সেসব সাইটে নিবন্ধন করেন এবং পরে প্রতারিত হন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে উপার্জন করা যায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে, কিন্তু এর জন্য কাজ করতে হয়। শুধু মাউসের ক্লিক করলেই উপার্জন করা যায়, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। এ জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট কাজের জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এর পরেই কেবল উপার্জন করা যেতে পারে। কোনো দক্ষতা অর্জন ছাড়া শুধু বিভিন্ন সাইটে নিবন্ধন করে বা ক্লিক করে উপার্জন করা সম্ভব নয়।
ব্যক্তিগত তথ্য চুরি:
কিছুদিন আগে বিভিন্ন তারকার ব্যক্তিগত বিভিন্ন ছবি ও তথ্য ইন্টারনেটে সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। যাঁদের এ ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা অসতর্কভাবে অ্যাপল আইক্লাউডের পাসওয়ার্ড অবিকল দেখতে অন্য একটি ফিশিং সাইটে লিখেছিলেন এবং এ সুযোগেই হ্যাকাররা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে সেখানে সংরক্ষিত ব্যক্তিগত তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের জন্য নির্ভরযোগ্য কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। অনেক সময় এসব ওয়েবসাইটের মতো দেখতে নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে ই-মেইল বা সামাজিক যোগাযোগের সাইটে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কোনো ব্যবহারকারী যদি সেসব সাইটে ঢোকার জন্য লগ–ইন করার চেষ্টা করেন, তবে অন্যরাও ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড জেনে যান এবং তাঁদের তথ্য চুরি করে নিতে পারেন। তাই কোনো ওয়েবসাইটে লগ–ইন করার সময় সতর্ক থাকতে হবে যে মূল সাইটটি খোলা হয়েছে কি না।
ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি:
ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনাকাটা এখন ব্যাপক জনপ্রিয়, বাংলাদেশেও স্থানীয়ভাবে প্রচুর ই-কমার্স সাইট গড়ে উঠছে। ই-কমার্স সাইটে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই কেনাকাটা করা যায়। আবার অনলাইনে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সময় তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে প্রচুর।
অনলাইনে কেনাকাটার জন্য নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটগুলো বেছে নেওয়া উচিত। পাশাপাশি সাইটটি অনলাইন লেনদেনের উপযোগী কি না, সেটিও যাচাই করা দরকার। খেয়াল রাখতে হবে, যে পাতায় ক্রেডিট বা ডেবিট কাডের্র তথ্য দেওয়া হচ্ছে, সেটি যেন https যুক্ত হয়। https দিয়ে শুরু হওয়া ওয়েবসাইটগুলো নিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে, ফলে যোগাযোগের মধ্যে তথ্য চুরি করার আশঙ্কা থাকে না।
ফেসবুকে অশ্লীল তথ্য ছড়িয়ে পড়া:
ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের পছন্দের বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছি এই ফেসবুক থেকে। কিছুদিন পরপরই দেখা যায়, বন্ধু তালিকায় থাকা কেউ অশ্লীল ছবি ও আপত্তিকর তথ্যযুক্ত ওয়েব ঠিকানা অনেকের ওয়ালে শেয়ার করছেন। এগুলো মূলত এক ধরনের স্প্যাম। কেউ যদি ইচ্ছা করে বা ভুলে এগুলোয় ক্লিক করে বসেন, তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁর তালিকায় থাকা সব বন্ধুর ওয়ালে সেই লিংকটি পোস্ট হতে থাকে। ফেসবুকে কোনো ওয়েব ঠিকানা বা লিংক খোলার আগে অবশ্যই সেটি পড়ে দেখা উচিত। যেকোনো অ্যাপ ইনস্টল করার সময় দেখে নেওয়া দরকার, সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের বা বন্ধুদের ওয়ালে পোস্ট করছে কি না। কোনো স্প্যাম লিংক দেখলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি রিপোর্ট করা উচিত, যেন সেটি আর ছড়িয়ে না পড়ে।
asitrony:
So scaring!
thanks for sharing the post.
Navigation
[0] Message Index
Go to full version