News from Bangla Tribune: ক্লাস চলবে, বাধা দিলে চিরস্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

Author Topic: News from Bangla Tribune: ক্লাস চলবে, বাধা দিলে চিরস্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত  (Read 1322 times)

Offline Farhana Helal Mehtab

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 248
  • Test
    • View Profile

Sharing the news of Bangla Tribune:

   
ক্লাস চলবে, বাধা দিলে চিরস্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে একমত বিশ্ববিদ্যালয় মালিকরা

প্রকাশিত: রাত ১০:১৯ ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫

সম্পাদিত: সকাল ০৯:০৩ মার্চ ০১, ২০১৫

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট॥

নিয়মানুযায়ী সঠিক সময়ে ক্লাস-পরীক্ষা আয়োজনের পক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি গত সোমবার থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধের আন্দোলন ফের মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ না দিতে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন তারা। এ কারণে ‘আন্দোলনকারীদের’ চিহ্নিত করে চিরস্থায়ী বহিষ্কারের বিষয়ে একমত হয়েছেন দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকরা।

গত শুক্রবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিস অব বাংলাদেশ-এপিইউবি’র এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, চলমান বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ক্লাস বন্ধের দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করে। এতে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করে। এসব আন্দোলনে ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততার অভিযোগও ওঠে। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকরা শুক্রবার জরুরি বৈঠকে এই কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বৈঠকে আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে চিরস্থায়ী বহিষ্কার এবং পরবর্তীতে অন্য কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অযোগ্য করারও সিদ্ধান্ত হয়।

জানতে চাইলে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিস অব বাংলাদেশ এর সভাপতি শেখ কবির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা গতকাল মিটিং করেছি। সবাইকে বলেছি, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অনেক কষ্ট করে অর্থ দিয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করায়। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই ক্লাস বন্ধের আন্দোলন শুরু হয়। এটি আমরা মেনে নিতে পারি না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় সারা বছর লেগে থাকে সেশনজট। এখন কি আমরাও এই পরিস্থিতিতে পড়ব? তা তো হতে পারে না। আমরা সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে বলে দিয়েছি, ক্লাস হবে যেকোনও পরিস্থিতিতে। ছাত্ররা নিরাপদ মনে করলে আসবে, বেশি প্রবলেম হলে আসবে না।

ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের এই চেয়ারম্যান আরও বলেন, যাদের ইচ্ছে তারা ক্লাস করবে, যাদের ইচ্ছে করবে না, তারা করবে না। কিন্তু ক্লাস অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। আমরা শক্ত হাতে এগুলো মোকাবেলা করবো। বাধা দিলেই বহিষ্কার। কোনও ইউনিভার্সিটিতেই ভর্তি হতে পারবে না।

জানা গেছে, সময়মতো শিক্ষাজীবন শেষ করতে তাড়া থাকলেও প্রতিদিনের রাজনৈতিক সহিংসতা, আগুনে পুড়ে মানুষ নিহত হওয়ায় ভীত শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এ ভয়কে নিজেদের কৌশলে জয় করতেও তৎপর ইসলামী ছাত্রশিবির।

প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের চলমান এ সংকটে গত পাঁচদিন ধরে রাজধানীর প্রায় সবকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নীরব অস্থিরতা চলছেই।

যদিও এসব বিষয়ে মুখ খুলছেন না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা। বিগত তিনদিনে ইস্ট-ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পর্যায়ে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিআর সূত্র জানায়, আগামী ১ মার্চ এ বিষয়ে ইউজিসির বৈঠকের আগে কেউই কথা বলতে চাইছেন না। বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক মূল্যবোধ প্রকাশ হয়ে পড়ার ভয়েই তারা এমনটি করতে পারেন। আপাতত ১ মার্চ ইউজিসির সিদ্ধান্ত জানার পরই কর্তাব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ব্যক্ত করতে পারেন।

জানতে চাইলে ইউআইটিএস এর ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের পলিসি হচ্ছে হরতাল-অবরোধেও ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণ করা। কিন্তু বিগত সপ্তাহের সোমবার থেকেই মূলত শিক্ষার্থীরা ক্লাস না গ্রহণের দাবি করে।আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী সোম-মঙ্গলবারের দিকে এ নিয়ে বসবো, এরপর সিদ্ধান্ত নেব কি করা যায়।

সিটি ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষক এম এস হোসাইন বলেন, আমাদের এখানে আমরা নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছি। পরীক্ষা হচ্ছে শুক্রবার ও শনিবার। সময়মতো ক্লাস না নিলে সেশনজট লাগবে সাংঘাতিকভাবে।

তবে এ বিষয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়েরে এক কর্মকর্তা বলেন, এক মাসে শুধু বিদ্যুৎ বিল ১৮ লাখ টাকা। এটা পরিশোধ করতে হবে না? স্যারদের বেতন, বোনাস, এগুলো কি বন্ধ থাকবে? সেমিস্টার ফি নেব, কিন্তু সময় মতো ক্লাস নেওয়া যাবে না, বিশাল এই আর্থিক ক্ষতি কে পোষাবে?

সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে জানা গেছে, ধারাবাহিক হরতাল-অবরোধে ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে নেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে দেশের এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। একদিকে সেশনজট সৃষ্টির আশঙ্কার সঙ্গে ‘সরকারের চাপ’ অন্যদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ফের ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের মাথাচাড়া।

সম্প্রতি সারাদেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয জোটের ডাকা অবরোধ ও হরতালে শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে দর্বৃত্তদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে কলেজছাত্রী শারমিন সুলতানা আহত হন। এরপর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বাড়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের। হরতালে ক্লাস-পরীক্ষা না নিতে বেশকিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের মুখে প্রাথমিকভাবে ক্লাস স্থগিত করে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে এই আন্দোলনকে 'সরকার বিরোধী' রূপ দিতে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে ছাত্রশিবিরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখাও সহায়তা করার অভিযোগও ওঠেছে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, অবরোধে নিজেদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই আন্দোলন শুরু করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায় শিবির। এ নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনে খবর প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলন যেন অাবার না হয়, এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন নজরদারী শুরু করে ক্যাম্পাসে, এমনকি ফেসবুকেও।

বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষার্থী জানান, আন্দোলন করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণায় ভীত হয় শিক্ষার্থীরা। এমনকি ৩২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে এমন খবরও ছড়ায়। যদিও এমন ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় বিশ্ববিয়ালয়ের এক কর্মকর্তা।

এআইইউবির আহসান কবির তন্ময় তার বিষয় ও বিভাগের পরিচয় না দিয়ে জানায়, আন্দোলনকারী ৩২ জনকে টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে আরেক শিক্ষার্থী দাবি করেন, বহিষ্কৃতদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়নি। তবে আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলোতো কারও বিরুদ্ধে ছিল না, দাবি ছিল, ১। হরতালের সব ক্লাস বাতিল করতে হবে। ২। হরতালের সময় ৩/৪ জন স্টুডেন্ট নিয়ে যেসব ক্লাস নেওয়া হয়েছে, সব ক্লাস বাতিল করতে হবে। ৩। FULL PAYMENT নিয়ে মোট সময়ের অর্ধেক সময় ক্লাস নেওয়া এবং পরীক্ষার সময় কমানো যাবে না। ৪। আমাদের সিলেবাস সম্পূর্ণ শেষ করে তারপর আমাদের পরীক্ষা নিতে হবে।’

শিক্ষার্থীটি আরও বলেন, ‘দাবিগুলো দেখে কি মনে হচ্ছে, একটাও অযোক্তিক দাবি? আপনারা মানতে পারবেন না এমন কোন দাবি? আমরা তো ভার্সিটি গিয়ে কোনও বিশৃঙ্খলাও করিনি। কোনও বেয়াবদি করছি বলেও মনে হয়নি। আমরা মনে করি আমাদের দাবিগুলো যোক্তিক ছিল। কারণ, এক ঘণ্টার একটা ক্লাসে কোনওমতে স্লাইড দেখিয়ে তিনটা চ্যাপ্টার পড়িয়ে জোরাতালি দিয়ে সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা নিলে লাভটা কোথায় হবে? আপনি হয়তো বলবেন ক্ষতিটা কোথায় হবে? আমাদের বেশিরভাগই সুপার জিনিয়াস না, সেটা হলে হয়তো বুয়েট-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তে পারতাম, কোনও 'বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে' পড়তে হতো না। যে জিনিসটা এখন শিখে যেতে পারছি না, সিলেবাস ছোট করে পরীক্ষা নিলে কোনওমতে একটা গ্রেড হয়তো পাবো, কিন্তু পরে আমার সেই ঘাটতিটা কে মেটাবে? তাছাড়া ঠিকমতো সিলেবাস কমপ্লিট হওয়ার আগেই 'যথাসময়ে' পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত কি পরোক্ষভাবে শিক্ষাবাণিজ্য তথা সার্টিফিকেট বাণিজ্যকেই সমর্থন করে না?’

তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির ১১ সেমিস্টারের ছাত্র আনাস বিশ্বাস দাবি করেন, আমি দ্রুতই আমরা গ্রাজুয়েশন শেষ করতে চাই। আমি মনে করি না, ক্লাস বন্ধের যে কারণ দেখানো হচ্ছে সেগুলো শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ।

একই প্রতিষ্ঠানের তাওহিদুর রহমান শুভ বলেন, অনির্দিষ্টকালের হরতাল-অবরোধে তো অনির্দিষ্টকাল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকতে পারে না।

এদিকে ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী অবরোধে নিজেদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ক্লাস স্থগিতের আবেদন করে। আবেদনের কারণে হরতালে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে ইউজিসির বৈঠক নিয়ে নিজেদের প্রস্তুতির জন্য শুক্রবার বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয়টি ট্রাস্টি বোর্ড।

ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মহিউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, অনেক দূর থেকে অনেকেই ক্লাস করতে আসেন, তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হরতালে ক্লাস স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শুক্র ও শনিবার এজন্য অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া হবে।

জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট দেশের চলমান হরতাল-অবরোধের প্রেক্ষাপটে ‘নৈরাজ্য বন্ধে’ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারকে অন্তবর্তীকালীন আদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা রাখা এবং সঠিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সভায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১ মার্চ সভায় অংশ নিতে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ তথ্য বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক (জনসংযোগ) শামসুল আরেফিন।

এসব বিষয়ে কথা বলতে চাইলে যোগাযোগ করা হয় ইন্ডিপেন্ডন্ট ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক উমর রহমানের সঙ্গে। বিগত তিনদিন টানা মোবাইলে কল করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি। বৃহস্পতিবার মেসেজ দিয়ে এ প্রতিবেদকে পরে কল করার কথা বললেও শুক্রবার ও শনিবার টানা কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।

এরপর একই সময়গুলোয় নিয়মিত বিরতি দিয়ে যোগাযোগ করা হয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ইউসূফ এ হারুনের সঙ্গেও। তার ব্যক্তিগত সেলফোন এবং তার ব্যবসায়িক অফিসেও পাওয়া যায়নি তাকে। যদিও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্য নিলুফার জাফরুল্লাহ বলেন, তাদের পলিসি হচ্ছে ক্লাস গ্রহণ, এখনও তাই হচ্ছে। ইউজিসির বৈঠকের পর পুরোপুরি বলা যাবে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিস অব বাংলাদেশ এর সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, হঠাৎ করেই ক্লাস বন্ধের দাবিটি চিন্তনীয়। এর আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন রাজনীতি সংশ্লিষ্টতা হয়নি। এখন অামরা একেবারে ভিকটিম, একটা গ্রুপ কাজ করছে। জানি না তারা ছাত্রশিবির নাকি ছাত্রদল। একটা গ্রুপ তো নিশ্চই কাজ করছে ক্লাস বন্ধের আন্দোলনের পেছনে।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে শেখ কবির হোসেন বলেন, ল অ্যান্ড অর্ডার বাস্তবায়ন করা সরকারের কাজ। যারা নাশকতা চালাচ্ছে, শিক্ষার ওপর আঘাত হানতে চাইছে তাদের ধরা সরকারের কাজ। আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি। পাশাপাশি যারা নাশকতা করছে তাদের বলি, আপনারা শিক্ষাকে আক্রমণ করবেন না। এটি তো জাতি ধ্বংসের কার্যক্রম এবং যারা নাশকতাকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্লাস বন্ধের দাবি করবে, আন্দোলন করবে, প্রমাণিত হলে অবশ্যই তাকে বহিষ্কার করা হবে।


/এসটিএস/এএইচ/




http://www.banglatribune.com/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%B8
« Last Edit: March 02, 2015, 03:47:27 PM by Farhana Helal Mehtab »

Offline Farhana Helal Mehtab

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 248
  • Test
    • View Profile
Letter from the Registrar office, Daffodil International University:


সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ,

বাবামায়ের কষ্টার্জিত টাকায় নিজের ভবিষ্যত গড়ার মানসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার জন্য প্রথমে তোমাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

অন্যায্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন অনৈতিক দাবী সংবলিত কতিপয় বহিরাগত ও উস্কানি প্রদানকারী গুটিকয়েক ছাত্রের সাম্প্রতিক অস্থিরতাকে সফলভাবে মোকাবিলায় সহযোগিতার জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (DIU) কর্তৃপক্ষ আমাদের স্নেহধন্য শিক্ষার্থীবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। ধন্যবাদ তোমাদের-আমাদের পাশে থাকার জন্য। আমরা গর্বিত যে, প্রথম থেকেই তোমরা তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা কার্যক্রমকে সচল রাখার পক্ষে এবং ক্যাম্পাসকে অস্থির করে তোলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সুনাম বৃদ্ধিতে তোমরাই কান্ডারির ভূমিকা পালন করে চলেছো। শিক্ষার্থীদের গৌরবগাঁথা সাফল্য ও কৃতিত্বপূর্ন অবদানই আজ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদায় আসীন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষার্থীরা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিটি শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টিকে গভীরভাবে ভালবাসে এবং আন্তরিকভাবে হৃদয়ে ধারন করে যার প্রমান তারা ইতিমধ্যে রেখেছে।এ জন্য আমরা গর্বিত।

 
তোমরা জেনে আনন্দিত হবে যে, তোমরাই সঠিক পথে আছো। অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কে আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (ANUB)-এর জরুরী বৈঠকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করা হয়। উক্ত সভায় ৮০টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমানিত হলে আইনবিরোধী উচ্ছৃংখল ছাত্র নামধারী বা উস্কানি প্রদানকারীদের স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনতিবিলম্বে বহিষ্কার করা হবে এবং বহিষ্কৃতরা অন্য আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পূনঃভর্তি হতে পারবে না। আন্দোলন করায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সর্বদাই তোমাদের যে কোন ন্যায় সঙ্গত দাবীর পক্ষে। একই সাথে তোমাদের লেখাপড়া বা জীবনের ক্ষতি হয় এমন যেকোন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তোমাদের ভার্সিটিকে সবসময় পাশে পাবে।


Offline Ferdousi Begum

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 823
  • Don't give up.
    • View Profile
আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব।