Health Tips > Food and Nutrition Science

আমলকীর ৫ টি স্বাস্থ্য উপকারীতা

(1/1)

Sahadat:
ছোট ছোট হালকা সবুজ রঙের আমলকি ফলটি নিশ্চয়ই সবাই চেনেন তাই না? খেতে একটু ভিন্ন ধরণের স্বাদ বলে অনেকেই এই ফলটি পছন্দ করেন না। আবার অনেকে বেশ পছন্দ করেই খেয়ে থাকেন আমলকি। এই ফলের মজার একটি বৈশিষ্ট্যও আছে। আর তা হলো চিবিয়ে খাওয়ার সময় কিছুটা টক ও তেতো লাগলেও এই ফলটি খেয়ে পানি খেলে মিষ্টি লাগে।
 
স্বাস্থ্য ও রূপ চর্চায় আমলকির কোনো তুলনা নেই। আমলকি তে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। তাই শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে সহায়তা করে আমলকি।
 
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে আছে পানি- ৯১.৪ গ্রাম, খনিজ -০.৭ গ্রাম, প্রোটিন – ০.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম – ৩৪.০ মিগ্রা, আয়রণ – ১.২ মিগ্রা, ভিটামিন বি১-১০.০২ মিগ্রা, ভিটামিন বি২-২০.০৮ মিগ্রা, ভিটামিন সি-৪৬৩ মিগ্রা।
 
আসুন জেনে নেয়া যাক আমলকির ৫টি স্বাস্থ্য উপকারীতা -
 

 

হজমে সহায়তা করে
আমলকি তে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। আমলকির টক ও তেতো স্বাদ মুখের লালা বাড়িয়ে হজমে সহায়ক এনজাইম কে সক্রিয় করে। আমলকির রস পাকস্থলী পরিষ্কার রাখে এবং খাবার হজমে সহায়তা করে। এছাড়াও যাদের এসিডিটির সমস্যা আছে তারা আমলকি খেলে উপকার পাবেন। তাই হজমের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা নিয়মিত অন্তত একটি করে আমলকি খান।
 
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
নিয়মিত আমলকি খেলে রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কম চিনি এবং প্রচুর ফাইবার যুক্ত খাবার ভালো। আমলকিতে চিনি নেই বললেই চলে এবং এতে উচ্চ মাত্রার ফাইবার আছে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য আমলকি একটি আদর্শ খাবার। তাই যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না তারা নিয়মিত আমলকির রস খান।
 
ত্বক ভালো রাখে
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আছে। আমলকি ত্বককে মসৃন ও সুন্দর করে তোলে। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও আমলকি ভূমিকা রাখে। নিয়মিত আমলকি খেলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। ফলে ব্রণ কিংবা অন্যান্য ত্বকের সমস্যাও কমে। বয়সের কারণে বলিরেখা ঠেকাতেও আমলকি বেশ কার্যকরী।
 

 

কোলেস্টেরল কমায়
আমলকিতে ভিটামিন সি, এমিনো এসিড ও পেকটিন আছে। পেকটিন রক্তের থেকে কোলেস্টেরল সিরাম কমায় এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এছাড়াও নিয়মিত আমলকি খেলে রক্তের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। আমলকি রক্ত নালীতে চর্বি জমতেও বাঁধা দেয়। নিয়মিত আমলকি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ট্রাইগ্লিসারিডের মাত্রা কমে যায়। ফলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
 
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের বৃদ্ধি কমায়। এছাড়াও আমলকি শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিয়ে রক্ত বিশুদ্ধ করে। তাই নিয়মিত আমলকি খেলে ত্বক ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version