বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে অ্যাপ বানালেন মার্কিনি

Author Topic: বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে অ্যাপ বানালেন মার্কিনি  (Read 871 times)

Offline riazur

  • Faculty
  • Full Member
  • *
  • Posts: 203
    • View Profile


যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি ২ জন নিহত হবার বিপরীতে বাংলাদেশে হন ১৬০ জন! বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের এমন উদ্বেগজনক সংখ্যা দেখে জেনিফার ফ্যারেল নামের যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এক চিকিৎসক একটি স্মার্টফোন অ্যাপ তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের জরুরি সেবা দেয়া যাবে। তার ডেভেলপ করা ক্রিটিকালিংক অ্যাপটি বিশ্বের প্রথম মোবাইল অ্যাপ যেটি জরুরি চিকিৎসা সেবা সরবরাহে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ ও দরিদ্র দেশে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এ অ্যাপটি আসলে কতটুকু কার্যকরী হবে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বৃটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) জানিয়েছে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের ১০ শতাংশেরও কম অ্যাম্বুলেন্স সেবার সুযোগ পান। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার খবর জানানোর জন্য কোন সরকারি ফোন নম্বরও নেই। জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রশিক্ষণ নেই ডাক্তার কিংবা নার্সদের। ক্রিটিকালিংক নামের অ্যাপটি তৈরির পেছনের গল্পও জানিয়েছেন জেনিফার ফ্যারেল। ২০১২ সালের দিকে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। তরুণ স্বেচ্ছাকর্মী, চিকিৎসক, চিকিৎসাবিদ্যার শিক্ষার্থী, নিরাপত্তা রক্ষীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়েছিল জেনিফার ও তার দল। তিনি জানান, তখন আমরা শতশত মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম। কিন্তু চিন্তার বিষয় ছিল, সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত মানুষজন বা তাদের আত্মীয়রা এসব প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের পাবে কীভাবে? এরপরই মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অ্যাপের সাহায্যে প্রয়োজনীয় ও জরুরি চিকিৎসা সেবার ধারণাটি মাথায় এলো। তার মতে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে সাফল্য অর্জন সম্ভব। তিনি জানান, যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি, তখন বহু মানুষ তাদের ছবি তুলছিল মোবাইল ফোনের ক্যামেরায়।

এদের বেশিরভাগই ফেসবুকসহ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। জেনিফারের যুক্তি, তারা যদি ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করতে পারে, তাহলে নিশ্চয়ই দুর্ঘটনাস্থলের ছবি তুলেও যথাসম্ভব লিখে তা ক্রিটিকালিংক অ্যাপে আপলোডও করতে পারবে। জেনিফার ফ্যারেল এ অ্যাপের সাহায্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান করার ব্যাপারে আশাবাদী। তার আশা, বাংলাদেশের লাখো মানুষ এতে উপকৃত হতে পারে। কমতে পারে দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে, অ্যাপটি মানুষের কাছে কতটা কার্যকর ও সহজভাবে উপস্থাপন করা যাবে। অ্যাপের মাধ্যমে যেসব প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী সেবা প্রদান করবেন, তাদের সংখ্যাই বা কত, বা তারা আসলে কতটা উৎসাহী। এসবের উপরই নির্ভর করছে এটি সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের হার কমাতে কতটুকু ভূমিকা রাখবে।