শিশুর কোন বিষয়ে ভীতি বা আতংক একটি স্বাভাবিক বিষয় যা শিশুকে নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সাথে পরিচিত করে তোলে। শিশুরা সাধারনত উচ্চ শব্দ, কুকুরের ডাক, অন্ধকার ইত্যাদি বিষয়ে ভয় পায়। অনেক শিশুরা আবার নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে, নতুন অভিজ্ঞতায় ভীতি অনুভব করে। এটি স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘস্থায়ী ভয় শিশুর মনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। তাই বাবা-মায়ের উচিত যতটা সম্ভব শিশুর ভয়ের ব্যপারগুলো শিশুর সামনে সহজ ও স্বাভাবিক করে তোলা। এর কিছু উপায় কি হতে পারে? চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ
শিশুর ভয় কি নিয়ে তা বুঝতে চেষ্টা করুন এবং জেনে নিন কি নিয়ে শিশু ভীত হচ্ছে, যদি আপনি তা বুঝতে পারেন তবে সেই সময়গুলোতে আপনি আপনার সন্তানের সাথে থেকে তাকে সাহস যোগাতে পারবেন আর তাকে বোঝাতে পারবেন যে এটি কোন ভয়ের বিষয় নয়। উদাহরনস্বরুপ বলা যায়,যদি আপনার সন্তান কুকুরে ভয় পায় তবে তাকে বুঝিয়ে বলুন কুকুর তাকে কামরাবে নাহ! কিংবা তার হাত ধরে কুকুরের পাশে হেঁটে যেতে পারেন এবং দেখাতে পারেন যে কুকুর অযথা কার ক্ষতি করেনা।
শিশুর সাথে একমত হতে পারেন আর বলতে পারেন যে “আমি জানি এটি ভীতিকর, তোমার ভয় পাওয়া স্বাভাবিক, তবে আমরা একসঙ্গে থাকলে কেউ কোনভাবে ভয় দেখাতে পারবেনা। তাকে প্রতিনিয়ত সাহস জোগান এবং বুঝিয়ে বলুন।
সমস্যা সমাধানে সন্তান ও বাবা-মা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শিশুর সাথে বাবা-মা থাকলে সে সাহস পাবে, বুঝতে পারবে যে সে একা নয়। শিশুর এই ভীতি কাটতে সময় লাগতে পারে কিন্তু সবাই একসাথে থাকলে একাজটি বাবা-মা, সন্তান সবার জন্যেই সহজ হবে।
অভিনয়ের মাধ্যমে শিশুকে ভয়ের জিনিসগুলো সম্পর্কে স্বাভাবিক ধারনা দিতে চেষ্টা করুন। খেলাচ্ছলে শিশুকে বুঝিয়ে দিন। যেমন অনেক শিশু ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পায়, এক্ষেত্রে আপনি খেলাচ্ছলে বোঝাতে পারেন যে চিকিৎসক আমাদের বন্ধু, আমাদের অসুখ হলে ডাক্তার আমাদের সাহায্য করে। তবে শিশুর ভয় আস্তে আস্তে কেটে যাবে।
নিজের ভীতির জায়গাগুলো শিশুর সাথে শেয়ার করতে যাবেন না, এতে শিশু নিজের ভয়ের ব্যপারগুলোর পাশাপাশি আপনার ভীতি নিয়েও ভয় পাবে। তাই তাদের সামনে নিজের ভয়কে প্রশয় দেওয়াটা উচিত হবেনা।