সন্তান জন্মের পর শিশু সবচেয়ে বেশি পুষ্টি পায় যে খাদ্যদ্রব্য থেকে তা হলো মায়ের বুকের দুধ। কিন্তু শারীরিক দিক থেকে শিশুকে দুধ দেওয়ার ব্যাপারে মায়ের অনেক কিছুই অজানা থেকে যায়। অনেকে আবার নানা রকম কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে থাকেন। তাই বুকের দুধ খাওয়ানো নিয়ে অজানা কিছুগুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি তথ্য আজ জেনে নিনঃ
১। এই সময় গুরুত্বপূর্ণ হরমোনের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে, এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। এছাড়া হরমোনের পরিবর্তনের ফলে মা বেশিরভাগ সময় ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন। এছাড়া কিছু কিছু হরমোনের প্রভাব ঘাম, পেটব্যথা, অস্বস্তি অনুভব ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারে। এটি আর কিছু নয় শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রভাবেই সদ্য প্রসূতি মা অনুভব করে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা অনুভব করলে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাই ভালো।
২। সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ালে তা মায়ের গর্ভকালীন সময়ের অতিরিক্ত ওজন কমাতে অনেকটাই সহায়তা করে। শিশু মায়ের দুধ খাওয়ার সময় অনেকটা ক্যালরিই চুষে নেয় ফলে মায়ের দেহ থেকে অতিরিক্ত মেদ কমে ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। এটি বেশিরভাগ মায়ের ক্ষেত্রেই ভালো উপকারে লাগে।
৩। হরমোনের পরিবর্তনের ফলে এবং শারীরিকভাবে একটি বিশাল পরিবর্তন আসে বলে স্তনের আকারেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়। এটি মায়ের জন্য একটু অস্বস্তিকর হলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ নিয়ে মায়ের দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
৪। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মায়ের এক স্তন থেকে সন্তান তুলনামূলক ভাবে বেশি পরিমাণে দুধ পাচ্ছে এবং এর ফলে স্তনের পাশাপাশি মায়ের শরীরে কিছুটা ভারসাম্যহীনতা আসতে পারে। স্তনের আকার পরিবর্তনের ফলে মা অস্বস্তিতে ভুগে থাকেন। কিন্তু শিশুকে নির্দিষ্ট বয়স পরে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করলে এটি আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে।
৫। মায়ের দুধ শিশুর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে উপযোগী খাবার। এটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। মায়ের বুকের দুধ সরাসরিই শিশুর শরীরের জন্য উপযোগী হয়ে থাকে তাই এর সাথে কোন রকমের কিছু যোগ করার প্রয়োজন হয় না। শিশুর যা যা প্রয়োজন ঠিক সেই উপাদানগুলোই আছে মায়ের বুকের দুধে।
মায়ের বুকের দুধ সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব এক দান। তাই শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে কোন রকমের অবহেলা করবেন না।