যৌতুক নিয়ে বিয়ে করা মানেই ভিক্ষা করা', 'যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি'_ যৌতুকবিরোধী এসব স্লোগান বাংলাদেশের অনেক স্থানেই দেখা যাচ্ছে। ২১ বছর ধরে নিরলসভাবে কাজটি করে যাচ্ছেন ভৈরবের জুম্মন খান নিয়াজী। এক ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ২১ বছর ধরে নিজ খরচে এসব স্লোগান দেয়ালে, পোস্টারে, স্টিকারে ও গেঞ্জিতে লিখেছেন তিনি। তার আশা, এসব প্রচার-প্রচারণায় প্রভাবিত হয়ে যৌতুক নেওয়া থেকে সরে আসবে এ দেশের যুবসমাজ। ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উওরপাড়ার মৃত খোরশীদ মিয়ার ছেলে জুম্মন খান নিয়াজীর আঁকাজোকার হাত ছিল ছোটবেলা থেকেই। দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে সংসারের হাল ধরতে বাড়ির সামনে নিয়াজী আর্ট নামে একটি ছোট দোকান খোলেন। নিয়াজী জানান, পত্রিকায় যৌতুকের জন্য নির্যাতনের খবর পড়ে মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠত তার। সেখান থেকেই তিনি মনে মনে পণ করেন নিজেও যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবেন না এবং অন্যদেরও এ বিষয়ে সচেতন করে তুলবেন। সেই থেকে যৌতুকের বিরুদ্ধে রঙ আর তুলি দিয়ে সংগ্রাম শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে নিজ উপজেলার ভৈরব থেকে শুরু করেন তার যৌতুকবিরোধী প্রচারাভিযান। পর্যায়ক্রমে কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ দেয়াল লিখনের মাধ্যমে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নিয়াজী জানান, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে যৌতুকবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাবেন। এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক রিকশা, সাত শতাধিক গেঞ্জি, দেড় হাজারের বেশি কলম ও অসংখ্য দেয়ালে স্লোগান লিখে লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন।
Collected