অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরও বাজে খাদ্যাভাসের দিন যেতে পারে। কোন দাওয়াতে গেলে এক প্রকার অনুরোধে ঢেঁকি গেলার মত খেতে হয় ফ্যাট জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে। আবার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেলেও খাওয়া হয় ফাস্টফুড। আবার যারা অফিসে খাবার নিয়ে যেতে না পারেন না তাদের ভরসা হয় ফাস্ট ফুড বা তৈলাক্ত বাইরের খাবার। অনেকেই ভাবেন-"একদিন খেলে কিছু হবে না"! কিন্তু গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে ‘ফাস্ট ফুড’ জাতীয় খাবার অনেকটা নেশার মত। হয়তো আপনি ভাবছেন একদিন খেলে কিছু হবে না, কিন্তু পরের দিন ‘ফাস্ট ফুডের’ স্বাদ ও গন্ধ মনে পড়তে আবার ভাববেন একদিন খেলে কিছু হবে না।
না যাই হোক না কেন, দাওয়াত হোক কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় খাওয়া হোক শরীরের ওপর এর প্রভাব ঠিকই পরে। এর ফলাফল দেখা যায় শরীরে মেদ জমার মাধ্যমে। কিন্তু দাওয়াত কিংবা বন্ধুদের আড্ডা কোনটা বাদ দেয়া খুব কঠিন। তাহলে কি করা যায়? জেনে নিন, একদিনের এই বাজে খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব কাটাবেন।
যদি মনে করেন ওই দিনের পর না খেয়ে থাকলে আপনার দেহে মেদ জমবে না তবে আপনি ভুল ভাবছেন। অবশ্যই খাবেন তবে চিনি ও ফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দেবেন খাবার তালিকা থেকে।
শুধুমাত্র প্রোটিন ও ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাবেন না ভুলেও।
ব্যায়াম করুন। না খেয়ে থাকলে পেটে মেদ জমবে না এই চিন্তা বাদ দিয়ে পরিমিত খান এবং নিয়ম করে ব্যায়াম করুণ। মেদ জমবে না।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। দিনে ৬-৮ গ্লাস। এতে আপনার খাবার হজমে সুবিধা হবে ও মেদ জমতে বাঁধা দেবে।
একদিন বেশি খাওয়া হলে পরের দিন আপনা থেকেই বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়ে যায়। লক্ষ্য করে দেখবেন যেন ক্ষুধাও বেশি লাগে। অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। পরিমিত ঘুম হলে আমাদের দেহে লেপটিন ও জ্রেলিন নামক হরমোনের ব্যাল্যান্স ঠিক থাকে যা আমাদের ক্ষুধার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
সাধারণভাবে যদি আপনার ব্যায়াম করার অভ্যাস নাও থাকে, তারপরেও পরের দুটো দিন ব্যায়াম করুন। এতে বাড়তি ক্যালোরি ঝরে যাবে।