Health Tips > Food Habit
জেনে নিন ডাবের পানির অনন্য গুণ
(1/1)
Karim Sarker(Sohel):
ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে, পানিশূন্যতা প্রতিরোধ এবং শক্তির উৎস হিসেবে কচি ডাবের পানি ভীষণ জনপ্রিয়। বলা হয়, একটি ডাবের পানিতে চারটি কলার সমান পটাশিয়াম আছে, সেই সঙ্গে আছে সহজ শর্করা বা চিনি, যা সহজে শোষিত হয়ে শক্তি দিতে পারে।
ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর সোডিয়াম ক্লোরাইড ও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টি। এতে পটাশিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে। বমি হলে মানুষের রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়।
ডাবের পানি পূরণ করে এ ঘাটতি। তাই অতিরিক্ত গরম, ডায়রিয়া, বমির জন্য উৎকৃষ্ট পানীয় ডাবের পানি। এতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ। তাই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায়, পুরো দেহের শিরা-উপশিরায় সঠিকভাবে রক্ত চলতে সাহায্য করে।
কারণ, পানি বেশি পান করলে কিডনির কাজ করতে সুবিধা হয়, দেহে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়ে, ত্বকসহ প্রতিটি অঙ্গে পেঁৗছায় বিশুদ্ধ রক্ত। ফলে পুরো দেহ হয়ে ওঠে সতেজ ও শক্তিশালী।
এতে কোনো চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। প্রচুর খনিজ উপাদান থাকায় বাড়ন্ত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার জন্য ডাবের পানি যথেষ্ট উপকারী। তারুণ্য ধরে রাখতে ডাবের পানি যথেষ্ট উপযোগী। এতে চিনির পরিমাণও অল্প।
তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে ডাবের পানি খাবেন। কিডনিতে পাথর হয়েছে বা ডায়ালিসিস চলছে, এ ধরনের রোগীরা এই ফল খাবেন না। কারণ, এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, যা কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
কিন্তু যারা সুস্থ, তাদের কিডনির জন্য ডাবের পানি আশীর্বাদস্বরূপ। কিডনি দেহের ছাঁকন যন্ত্র। এই অঙ্গ শরীরের নোংরা ও ক্ষতিকর অংশগুলোকে দেহের বাইরে বের করতে সাহায্য করে। এই ফলে নেই কোনো ভিটামিন এ।
তার পরও শরীরের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম রয়েছে ডাবের পানিতে, যা হাড়কে করে মজবুত। সেই সঙ্গে জোগায় ত্বক, চুল, নখ ও দাঁতের পুষ্টি।
বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ডাবের পানিকে খাওয়ার স্যালাইনের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। ডায়রিয়া বা বমির পর পানিশূন্যতা দূর করতে ডাবের পানির ব্যবহার প্রচলিত। কিন্তু সম্প্রতি এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
খেলাধুলা বা কঠোর পরিশ্রমে ঘাম হয়, আর এই ঘামের সঙ্গে দেহ হারায় পানি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম। ডায়রিয়া বা বমির পর দেহ থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়।
কিন্তু ডাবের পানি খেলে সেই অভাব পূরণ হবে কি-না তা নিয়ে বিতর্ক আছে। দি পেডিট্রিয়া সাময়িকী বলছে, ডাবের পানিতে যথেষ্ট পটাশিয়াম থাকলেও সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক কম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত খাওয়ার স্যালাইনের তুলনায় অন্তত ৩০ গুণ কম। আর এই দুই তরলের ঘনত্বেও ব্যাপক পার্থক্য আছে। তাই একে-অপরের পরিপূরক হতে পারে না।
একটি সাধারণ কচি ডাবে আকারভেদে ২০০ থেকে ১০০০ মিলিলিটার পানি থাকতে পারে। এর ৯৫ শতাংশই পানি। আর সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য লবণের পরিমাপ স্থানভেদে একেক রকম।
তবে সাধারণভাবে এক লিটার ডাবের পানিতে পটাশিয়াম আছে ৩৫ থেকে ৮২ মিলিমোল, সোডিয়াম ০.৭ থেকে ০.৯ মিলিমোল ও শর্করা ১.২ থেকে ২.৮ মিলিমোল। আর এক লিটার স্যালাইনে পটাশিয়ামের পরিমাণ ২০ মিলিমোল, সোডিয়াম ৭৫ মিলিমোল ও শর্করা ৭৫ মিলিমোল।
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/35244/index.html#sthash.ozPVGMZ1.dpuf
mahmudul_ns:
Although purity of it is questionable now-a-days, it is one of the favorable item of drinks for patient and general people.
Navigation
[0] Message Index
Go to full version