অ্যান্টলায়ন, অনেকে লেখেন অ্যান্ট-লায়ন অথবা অ্যান্ট লায়ন। প্রায় দুই হাজার প্রজাতির পোকা-মাকড় নিয়ে এ দল। অ্যান্টলায়ন ছোট আকার বা দল ধরে তাদের তুলনায় বড় আকারের প্রাণী শিকার করেই জীবনধারণ করে। এদের প্রিয় খাদ্য পিঁপড়া।
অ্যান্টলায়নের বৈশিষ্ট্য হলো- পিঁপড়া শিকার করার পরে এরা বালুর মধ্যে ত্রিভূজাকৃতির গর্ত করে এবং পিঁপড়াকে বালুচাপা দেয়।
এসব শিকারি প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ট্র্যাপ-জ্যাও অ্যান্টের রয়েছে এক বিশেষ কৌশল। এরা মুখের ওপর ভর করে লাফিয়ে চলতে পারে। ফলে মুহূর্তেই শিকারির সামনে থেকে হাওয়া!
বিপদ বুঝলেই এরা মাথায় ভর দিয়ে উপর দিকে লাফ দেয়। গবেষণায় দেখা যায়, দৌড়ানোর মোট সময়ের মধ্যে এরা শতকরা ১৫ শতাংশ লাফায়।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়-এর গবেষক ফেড্রিক লারাবি দীর্ঘদিন থেকে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তার মতে, একটা বিষয় এখনও পরিষ্কার হয়নি।
ট্র্যাপ-জ্যাও অ্যান্ট সেকেন্ডে লাফিয়ে ৪০ থেকে ৬০ মিটার দূরে সরে যেতে পারে এবং ঘণ্টায় ১০০ মাইলেরও বেশি।
পরীক্ষামূলকভাবে একটি ফাঁদ তৈরি করে দেখা যায়, কৌশলটি তাদের জীবনধারণের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য ভিডিওটি দেওয়া হলো। এটা দেখলেই এদের এই বিশেষ ক্ষমতা এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্রে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।