জর্জ ক্লুনি, মেরিল স্ট্রিপ, নাটালি পোর্টম্যান এবং লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও- এরা সবাই হলিউড তারকা এবং দারুণ জনপ্রিয়। কিন্তু তাদের আরেকটি বিষয়ে অদ্ভুত মিল রয়েছ। তা হলো, বসবাসের স্থানটিকে পরিবেশবান্ধব করে নিয়েছেন তারা। তাদের মতো আপনার বাড়িটাতেও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তুলতে পারেন। এখানে নিন ৭টি পরামর্শ।
১. ইনডোর গার্ডেন গড়ে তুলুন : যদি গাছপালায় পরিপূর্ণ একটি স্থানের মাঝখানে আপনার বাড়িটি থাকে, তবে কথা আলাদা। আর যদি শহরের যান্ত্রিক পরিবেশের মধ্য হয়, তবে ঘরে ভেতরেই ছোট বাগানের চেহারা দিতে পারেন। এ জন্যে ঘরে রাখা যায় এমন ছোট ছোট পাত্রে করে ছোট আকারের গাছ ঝুলিয়ে দিন দেওয়ালে।
২. আয়োজনকে পরিবেশবান্ধব করুন : পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকর জিনিস ব্যবহার করবেন না। এমনকি বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্র ব্যবহার করুন। ওয়ান টাইম প্লাস্টিক প্লেট না ব্যবহার করে বারবার ব্যবহার্য বাসন ব্যবহার করুন। তা ছাড়া বাড়ির সবুজের মাঝে মাঝে নকশাখচিত প্লেস বা তৈজস সৌন্দর্য বর্ধনে ব্যবহার করতে পারেন।
৩. পানির অপচয় কমান : টয়লেট থেকে শুরু করে যেকোনো কাজে অযথা পানির অপচয় করবেন না। পানির কল কাজের ফাঁকে খুলে রাখবেন না।
৪. স্মার্টদর্শন ট্যাপ ব্যবহার করুন : পুরনো আমলের ট্যাপ খুলে ফেলে আধুনিক ট্যাপ ব্যবহার করুন। আগের ট্যাপগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে অপ্রয়োজনীয় পানির অপচয় ঘটে। কিন্তু আধুনিক কলগুলো পরিবেশবান্ধব এবং পানির সাশ্রয় হয়।
৫. বিদ্যুত সাশ্রয়ী বাতি ব্যবহার করুন : বাড়িতে এনার্জি সেভিং বাতি ব্যবহার করুন। এগুলো দেখতেও বেশ সুন্দর এবং রুচিশীল।
৬. পরিবেশবান্ধব রং : কম ভিওসি (ভোল্টেজ অর্গানিক কম্পাউন্ড) ব্যবহার করুন। তা ছাড়া বাড়িতে ব্যবহার্য এসব রংয়ের বৈচিত্র্যের শেষ নেই এবং এতে কোনো বিষক্রিয়া নেই।
৭. যত কম আলো : এটা বহু পুরনো কথা, যে জন দিবসে মনের হরষে....। যেকোনো অপচয় রোধে এর চেয়ে ভালো উপদেশ আর নেই। অপ্রয়োজনে কখনো আলো জ্বালিয়ে রাখবেন না। ইলেকট্রনিক যেকোনো পণ্য যতটা কম পারা যায় ব্যবহার করুন।
সূত্র : কালের কণ্ঠ অনলাইন