কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কালবৈশাখী ঝড় আর শিলার আঘাতে বিভিন্ন প্রজাতির হাজারো পাখি মারা গেছে। ঝড়োবৃষ্টির সময় পড়া বড়বড় শিলার আঘাতেই পাখিগুলো মারা গেছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। এতে এলাকাবাসী মর্মাহত।
রোববার গভীর রাতে উপজেলার বাসগ্রাম ইউনিয়নের কুলসিবাসা গ্রাম ও ছাগলাপাড়া গ্রামের মাঝামাঝি অবস্থিত একটি বাগানে পড়ে রয়েছে এসব মৃত পাখি। মারা যাওয়া পাখিগুলোর মধ্যে শালিক, টিয়া, মাছরাঙা, অতিথিপাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোটবড় পাখি রয়েছে।
birdস্থানীয়রা জানায়, মেহগনি, সেগুন, নিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছেঘেরা ওই বাগানে বছরের পুরো সময়ই বিভিন্ন প্রজাতির পাখি থাকে। সন্ধ্যা হলেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাখিরা এসে বাগানটিতে অবস্থান নেয়। তখন এগুলোর কিচিরমিচিরে আশপাশের এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
গত রোববার সন্ধ্যায়ও পাখিরা যথারীতি এসে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু গভীর রাতে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড় আর মারাত্মক শিলাবৃষ্টিতে শালিক, টিয়া, মাছরাঙা, অতিথিপাখিসহ বিভিন্ন প্রকার ছোটবড় হাজারো পাখি মারা যায়।
এলাকাবাসী জানান, ঝড়ের পর সকাল হলে তারা ওই বাগানের পাশে গেলে দেখতে পান হাজার হাজার পাখি মরে পড়ে আছে। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ভিড় জমায়। এতো পাখি একসঙ্গে মারা যাওয়ার বিষয়টি সবাইকেই মর্মাহত করেছে।স্থানীয়রা পাখিগুলো নিয়ে পাশে পুঁতে ফেলেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘এই বাগানে অনেক দিন ধরেই অনেক পাখি থাকে। ঝড়ের পরে আশপাশের বাড়ির কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেখতে গিয়ে দেখি পাখিগুলো গাছের নিচে মরে পড়ে bird-deathআছে। খুব খারাপ লাগছে।’
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন বাংলামেইলকে বলেন, ‘এর আগেও একাধিকবার ঝড় হয়েছে কিন্তু পাখি মারা যায়নি। কিন্তু এবার ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টির কারণেই পাখিগুলো এভাবে মারা গেছে। এতে আমাদের পরিবেশের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।’
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহিবুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘অনেক পাখি মারা গেছে জেনে এসআইকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। তিনি দেখে এসেছেন। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে।’
এদিকে পাখি মারা যাওয়ার খবরে স্থানীয় সংসদ সদস্য কুষ্টিয়া-৪ (কুমরখালী-খোপশা) আব্দুর রউফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
Collected from
বাংলামেইল২৪ডটকম