IT Help Desk > Internet
বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশে হার্ডডিস্কে গোয়েন্দা নজরদারি
(1/1)
sadiur Rahman:
কম্পিউটার ব্যবহারকারীর হার্ডডিস্কে গোপন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের ৩০টিরও বেশী দেশে গোয়েন্দা নজরদারি চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। দেশসমূহের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নামও। অ্যান্টি ভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি এই তথ্য জানিয়েছে। আর সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি 'ইকুয়েশন গ্রুপ: কোয়েশ্চনস অ্যান্ড আনসারস' নামে প্রকাশও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ক্যাসপারস্কির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোপন সফটওয়্যারটির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকছেন একজন ব্যবহারকারী। আর জনপ্রিয় সব ব্র্যান্ডের হার্ডডিস্কেই রয়েছে এই গোপন সফটওয়্যার। তোশিবা, স্যামসাং, ম্যাক্সটর, সিগেট কিংবা ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল, বাদ পড়েনি কোন ব্র্যান্ডই।
পশ্চিমা দেশসমূহের অনলাইন নজরদারির অংশ হিসেবে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করে ক্যাসপারস্কি। আর এটি নিয়ে কাজ করতে গিয়েই বিষয়টি ক্যাসপারস্কি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
নজরদারিতে থাকা দেশসমূহের মধ্যে আছে রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, চীন, সিরিয়া, মালি, ইরান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, তুরস্ক প্রভৃতি দেশ। এই দেশসমূহের মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত, মাঝারি আকারে আক্রান্ত এবং সবথেকে কম আক্রান্ত দেশের তালিকাও তৈরি করেছে ক্যাসপারস্কি।
এসব দেশের বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠানে হার্ডডিস্কের এই গোপন সফটওয়্যারের মাধ্যমে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে আছে সরকারি প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য খাতের প্রতিষ্ঠান, দূতাবাস, সামরিক সংস্থা, টেলিযোগাযোগ সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যম প্রভৃতি।
তবে ক্যাসপারস্কি এই গোয়েন্দা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন দেশের নাম উল্লেখ করেনি। এমনকি কোন গোয়েন্দা সংস্থার নামও উল্লেখ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ এই কার্যক্রমের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে।
এই প্রতিবেদনটিকে সত্য বলেই স্বীকার করেছেণ একজন সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি রয়টার্সকে জানান, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই ধরণের নজরদারিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখে।
ক্যাসপারস্কির এই প্রতিবেদনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যের বাজার বড় ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেণ প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। এর আগে একবার স্নোডেন মার্কিন গোয়েন্দা নজরদারির কথা ফাঁস করার পর একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে তোশিবা এবং স্যামসাং কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, এই সফটওয়্যারের ব্যাপারে তাদের কিছুই জানা নেই।
Source : http://www.priyo.com/2015/02/17/134029.html#sthash.5SZO9uRl.dpuf
Navigation
[0] Message Index
Go to full version