ঘষামাজা বা চর্চা, না মা-বাবার কাছ থেকে জিনের কল্যাণে পাওয়া মেধার দ্যুতি- সাফল্যে কোনটির প্রভাব বেশি এ নিয়ে বিতর্ক ও বিভ্রান্তি দীর্ঘদিনের। এর সুস্পষ্ট সমাধান ছিল না বিজ্ঞানী বা গবেষক কারো কাছেই। তবে এবার এক দল ব্রিটিশ গবেষক দাবি করেছেন, সন্তানের অন্তত পরীক্ষার ফলাফলের ক্ষেত্রে চর্চা বা পরিবেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে মা-বাবা প্রদত্ত জিনের ভূমিকা। ভালো ফলের ক্ষেত্রে প্রায় ৬০ শতাংশ ভূমিকা পালন করে জিন
ব্রিটেনের অভিন্ন ও ভিন্ন চেহারার ১১ হাজারেরও বেশি যমজের ওপর গবেষণার পর এ সিদ্ধান্তে পেঁৗছেন কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষক দল। এতে ১৬ বছর বয়সী এসব কিশোর-কিশোরীর জেনারেল সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (জিসিএসই) বা মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করা হয়। এতে গবেষক দল দেখতে পান, অঙ্কের মতো বিষয়গুলোতে গড়পড়তায় ৫৮ শতাংশ পার্থক্যের জন্য জিন-ই দায়ী। বাকি ৩৬ শতাংশের নির্ধারক হচ্ছে পরিবার, স্কুল ও পারিপশ্বর্িকতার মত বিষয়গুলো
গবেষক দলটির প্রধান এবং কিংস কলেজের ইনস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রির নিকোলাস শাকেশাফট বলেন, 'আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত অর্জনের ক্ষেত্রে চর্চা নয় বরং মেধাই এগিয়ে। তবে উত্তরাধিকারের মাধ্যমে পাওয়া বিষয়টিই চূড়ান্ত নয়। পরিবেশগত প্রভাবে পরিবর্তন এলে শিক্ষাগত অর্জনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসতে পারে। সূত্র : বিবিসি