নিম হচ্ছে এক প্রকার ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস, সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ। আকৃতিতে ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর কান্ড ২০-৩০ ইঞ্চি ব্যাস হতে পারে। ডালের চারদিকে ১০-১২ ইঞ্চি যৌগিক পত্র জন্মে।
বহুদিন আগে থেকেই নিমগাছের পাতা, তেল ও কাণ্ডসহ নানা অংশ চিকিৎসাকাজে ব্যবহৃত হয়। নানা রোগের উপশমের অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে এ গাছের। এ লেখায় থাকছে তেমনই কিছু ব্যবহার।
১. এ উপমহাদেশের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিভিন্ন চর্মরোগের চিকিৎসায় ও চুলের সমস্যা দূর করতে ব্যবহৃত হয় নিম। নিমপাতার রয়েছে ফাংগাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী ভূমিকা। অনেকেই এটি খুশকি প্রতিরোধে ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছে।
২. ত্বকের শুষ্কতা দূর, চুল শক্ত করতে ও চুলের বৃদ্ধির জন্য নিম কার্যকর। প্রাচীনকাল থেকেই চুল ও মাথার ত্বকের খুশকি দূর করতে ব্যবহৃত হয় নিম।
৩. ত্বকের বিভিন্ন ধরনের চুলকানি দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে নিম।
৪. আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাপদ্ধতিতে ত্বকের নানা সমস্যায় ও ত্বকের বিষ দূর করতে নিম ব্যবহৃত হয়।
৫. ত্বকের মেচতা সমস্যার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে নিম।
৬. ত্বকের প্রসাধনী হিসেবে নিমের তেল ও নিমপাতার নির্যাস কার্যকর। নিম তেল শুষ্ক ত্বক ও এ-সংক্রান্ত চুলকানি ও র্যাশ দূর করে।
৭. ক্ষত সারাতে নিমপাতার নির্যাস কার্যকর। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
৮. ত্বকের ফুসকুড়ি ও ঘামাচির মতো সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে নিম।
৯. একজিমা ও ত্বকের ক্ষুদ্র সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম কার্যকর।
১০. আলসার প্রতিরোধে এবং তা নিরাময়ে নিমপাতার রস খুবই কার্যকর।
১১. এতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দেহের পরিবেশগত ক্ষতি ও বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
১২. নিম তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন ই, যা ত্বককে তরুণ রাখতে ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। এ তেল ত্বক সহজেই গ্রহণ করতে পারে।
১৩. ত্বক পরিষ্কারের জন্য নিমপাতা ব্যবহার করে মাস্ক তৈরি করা যায়।
১৪. নিমগাছের কাণ্ড থেকে তৈরি দাঁতন দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁতের বহু সমস্যা দূর হয়।