ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহের ক্ষেত্রে কোন বাধার সৃষ্টি হলে অর্থাৎ মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় ক্ষতি হলে ব্রেইন স্ট্রোক হয়। ব্রেইন স্ট্রোক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এই রক্তক্ষরণ সাধারণত ইস্কিমিয়া ব্লকেজ অর্থাৎ রক্ত প্রবাহের অভাবের কারণে হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, স্থুলতা, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে কোন বাধার সৃষ্টি হলেই মূলত ব্রেইন স্ট্রোক হয়। তবে এর কিছু সতর্কতা সংকেত রয়েছে।
১. মুখ বেকে যাওয়া:
রোগীর মুখের এক পাশে যদি অসাড়তা অনুভব করে অথবা রোগীর মুখের এক পাশ যদি বেকে যায়, তাহলে তাকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সে সময় রোগীকে হাসতে বলবেন। যদি সে হাসতে না পারে, তাহলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। ব্রেইন স্ট্রোক এর প্রধান লক্ষণ মুখ বেকে যাওয়া এবং হাসতে না পারা।
২. হাতে দুর্বলতা:
একজন স্ট্রোকের রোগীর এক হাত অথবা উভয় হাত অবশ বা দুর্বলতা অনুভব করে। যা স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। আপনি স্ট্রোকের রোগীকে হাত উপরে উঠানোর জন্য অনুরোধ করুন। সে তার হাত উপরে উঠাতে পারবেন না। উপর দিকে উঠাতে নিলে তার হাত নিচের দিকে নেমে আসবে।
৩. কথা বলতে অসুবিধা:
একজন স্ট্রোকের রোগী ঠিকমত কথা বলতে পারবে না। তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য একই প্রশ্ন বারবার করুন। দেখবেন তারা সঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না। তারা একই প্রশ্নের বিভিন্ন উত্তর দিবে।
৪. ভারসাম্য ঠিক থাকবে না:
একজন স্ট্রোকের রোগী তাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন না। তারা চলাচলের সময় সমন্বয়ের অভাব অনুভব করে। তারা বিভিন্ন অসুবিধায় ভুগতে থাকে।
৫. মাথায় প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করা:
কোন কারণ ছাড়াই হটাৎ প্রচণ্ড মাথা ব্যাথার অনুভব হতে পারে। সাধারণত এটি হেমোরেজিক স্ট্রোকের প্রতি ইঙ্গিত করে।
৬. স্বল্পমেয়াদী মেমরি
৭. কালো-আউট বা চাক্ষুষ বৈকল্য
৮. চাপল্য/ভারসাম্যহীনতা