এ ঘটনা জানতে পারি আমার বাবার কাছে।
কদিন আগে অফিসের কাজে ঢাকার সিএমএম কোর্টে গিয়েছিলেন বাবা। সেখানে এক মহিলাকে কাঁদতে দেখে কারণ জানতে চান।
বাবাকে ওই মহিলা জানান, ২২ মাস পর তার ছেলে ছাড়া পাবে বলে কাঁদছেন তিনি। তবে তা আনন্দে নয়, দুঃখে।
ছেলে মাদক নেয়। বাড়ির জিনিস ভাংচুর করে। টাকা না দিলে মা, ভাই-বোন সবাইকে মারধোর করে। শেষে মা ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এর আগে দুদফা ছেলে ভাল হয়ে গেছে মনে করে বাড়ি নিয়ে গেছেন। কিন্তু ছেলের আচরণে পরিবর্তন না দেখে আবার জেলে দেন।
এবার মেয়াদ শেষে ২৪ মে ছেড়ে দিচ্ছে কোর্ট তার ছেলেকে। কিন্তু ছেলেকে আর ফেরত চান না তিনি।
আগের দুবারও ছেলে কথা দিয়েছিল, ‘মাদক নেবে না, ‘কোন অত্যাচার করবে না।’ কিন্তু মা এবার আর ভরসা রাখতে পারছেন না। ছেলেটির ভাই-বোনেরাও তাকে বাড়িতে নিতে চায় না।
একদিকে সন্তানের জন্য কষ্ট অন্য দিকে সন্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার অটল সিদ্ধান্তের মাঝে নিরুপায় মা আর সইতে পারছেন না। তাই তার চোখ দিয়ে ঝরছে জলের ধারা।
এক শিশুর কাছে মায়ের চাইতে আপন কেউ নয়। তার সব আবদার, অনুযোগ আর অভিযোগ মায়ের কাছে। মা তাকে আগলে রাখবে সব বিপদ থেকে, সব অপরাধ ক্ষমা করে দেবে, সন্তান এটাই চায়। কিন্তু সেই মা তার নিজের ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে চান না এটা শুনে আমার খুব খারাপ লাগল। কিন্তু বাবা আমাকে বোঝালেন, সন্তানের প্রতি মা কখন এরকম আচরণ করতে বাধ্য হন।
তবু আমার মন মানে না। ছেলেটি তাহলে কোথায় যাবে যদি ওর মাও ওকে নিতে না চান?