যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা বিভিন্ন পদ্ধতিতে ডায়েট করে থাকেন। তারা তাদের ওজন সম্পর্কে বেশ সচেতন। এমন সব খাবার তারা এড়িয়ে যান যেগুলো তাদের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। সেরকমই কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলো স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা এড়িয়ে চললেও খাবারগুলো আসলে শরীরের জন্য উপকারী ও পুষ্টিকর। ওজন বাড়ার জন্য লোকে সেগুলোকে দায়ী করলেও আসলে সেগুলো খুব একটা ওজন বাড়ায় না।
১. মাখন :
মাখন অনেকেরই পছন্দেও একটি খাবার। কিন্তু এত বেশি পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে যে খুব সহজেই এটি মানুষকে মুটিয়ে ফেলতে পারে। তবে মাখন যদি বেশি পরিমাণে কেউ খেয়ে থাকে তাহলেও এই সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া এটি বেশ পুষ্টিকর একটি খাবার। যারা ডায়েট করেন তারা প্রতিদিন খুব কম পরিমাণে হলেও এই খাবারটি খেতে পারেন। এতে আপনার ডায়েটের কোনো সমস্যাই হবে না বরং শরীর কিছু পুষ্টি পাবেন।
২. পনির :
মাখনের মত পনিরও অনেক ফ্যাটযুক্ত এবং ক্যালরিযুক্ত একটি খাবার। কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, জিঙ্ক, রিবোফ্ল্যাবিন এবং ফসফরাস রয়েছে। এছাড়া এতে কনজ্যুগেটেড লাইনোলেইক অ্যাসিড, ফ্যাট রয়েছে। এতে কিছু প্রাণীজাতীয় প্রোটিন রয়েছে যেটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে। আপনি যদি ডায়েট করেও থাকেন তারপরও এই খাবারটি নিঃসন্দেহে খেতে পারেন যেটি আপনার ডায়েটে কোনো ধরনের বাঁধা দিবে না।
৩. কলা :
কলা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। অনেক সময় এটি ওজন বাড়িয়ে দেয়। কলাতে পটাশিয়াম, প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং ফাইবার রয়েছে। যারা ডায়েট করছেন তারা এই কলা চিন্তামুক্তভাবে খেতে পারেন। দিনে একটা করে কলা খেলে ওজনের তেমন কোনো তারতম্য হবে না। কিন্তু শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।
৪. কফি :
কফি অনেকেরই পছন্দের একটি পানীয় যা ক্লান্তিভাব দূর করে, কাজে মনোযোগ আনে এবং শরীরের স্টেমিনা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা যায় যে কফি বিভিন্ন দূরারোগ্য রোগ যেমন ডায়বেটিস ও এ্যালজেইমার প্রতিরোধে সহায়তা করে। কিন্তু দিনে ৩-৫ কাপের বেশি কফি পানে অনিদ্রাজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়েটের ক্ষেত্রে কফি পানে তেমন কোনো সমস্যার উদ্ভব হয়না তাই কোনো চিন্তা ছাড়াই এই পানীয়টি পান করতে পারেন।
৫. চকোলেটযুক্ত দুধ :
এক গ্লাস চকোলেটযুক্ত দুধে ৩.১ অনুপাত প্রোটিন রয়েছে যেটি পানির পরিবর্তে খেলে শরীরে অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়। এটি হাড়ের ক্যালসিয়াম তৈরিতে সহায়তা করে এবং শরীরের এ্যানার্জী বাড়িয়ে দেয়। চকোলেটযুক্ত এই দুধ কোনো সমস্যা ছাড়াই আপনি ডায়েট করাকালীন অবস্থাতেও খেতে পারেন।