তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, "তথ্য প্রযুক্তির এই খাতে বৈদেশিক আয় বার্ষিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার করতে আগামী বছরের মধ্যে ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা হবে।"
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ফ্রিল্যান্সারদের টাকা সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে জমা করার সুবিধা দিতে এক্সপোর্টার রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) অ্যাকাউন্ট চালু করার কথা জানিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এর আগে ফ্রিল্যান্সারদের অর্জিত অর্থ দেশে আনতে ঠিকমত পেমেন্ট গেটওয়ে সুবিধা ছিল না। এখন থেকে তা প্রদানের ব্যবস্থা করলো ব্যাংকটি। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসের (বেসিস) সহযোগিতায় এই সুবিধা দেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এর মাধ্যমে আউসসোর্সিং পেশাদাররা তাদের অর্জিত অর্থের ৬০ শতাংশ ডলারে ইআরকিউ অ্যাকাউন্টে এবং ৪০ শতাংশ অর্থ দেশীয় মুদ্রায় সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারবেন। এছাড়াও গ্রাহকরা একটি আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ডের সাহায্যে কেনাকাটাসহ যাবতীয় লেনদেন করতে পারবেন। এই অ্যাকাউন্ট ব্যক্তি বা কোম্পানি পর্যায়ে খোলা যাবে। তবে ফ্রিল্যান্সারদের অবশ্যই বেসিস থেকে তিন হাজার টাকা দিয়ে একটি প্রামাণ্য স্বাক্ষরপত্র নিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্য বেসিসে পেশাদারদের প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার পর তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি শামীম আহসান, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার পল, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের হেড অব রিটেইল ক্লায়েন্ট আদিত্য মান্ডলইসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।